পাবলিক পরীক্ষার প্রস্তুতি স্বরূপ নির্বাচনী অর্থাৎ টেস্ট পরীক্ষায় পাস না করে কেবল ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থেকেই মূল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি শুধু নয় পাস করতে হবে নির্বাচনী পরীক্ষাতেও। ০৩ আগস্ট ২০১৫ তারিখ, সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করে।
ক্লাসে উপস্থিতির বিচারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলে শিক্ষার্থীদের ‘মনোযোগ নষ্ট হবে’ এই কারণে শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানের আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘পাবলিক পরীক্ষার পূর্বে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নির্বাচনী পরীক্ষার আয়োজন করে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনুত্তীর্ণ কিন্তু ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি ছিল, এমন শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে’ গত ১ মার্চ শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত পরিপত্র জারি করা হয়। সেই পরিপত্রটি পাবেন এই লিঙ্কে।
সকল বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, কারিগরি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা প্রধানদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
০৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ওই নির্দেশনা সম্বলিত পরিপত্রটি জারির পর শিক্ষক-অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
‘নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।’
আদেশে বলা হয়, বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া সত্বেও অযোগ্য অনিয়মিত ছাত্র/ছাত্রীকে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রেরণ করা মোটেই কাম্য নয়।
‘যোগ্যতাবিহীন অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে পাবলিক পরীক্ষায় প্রেরণ করা হলে নিয়মিত ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এজন্য পাবলিক পরীক্ষার আগে নির্বাচনী পরীক্ষার আয়োজন একটি প্রচলিত ধারা। এ ধারায় শিক্ষার্থীরা চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য লেখাপড়ায় অধিকতর মনোযোগী হয়ে নিজেকে প্রস্তুত করে থাকে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, শুধুমাত্র ৭০ শতাংশ ক্লাস হাজিরার ভিত্তিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হলে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগ নষ্ট হবে এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার গুরুত্ব হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। এতে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
তবে অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, প্রাকৃতিক দুযোগ প্রভৃতি কারণে কোন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে অসমর্থ হলে তাদের একাডেমিক আগের রেকর্ড ও ক্লাস কাযর্ক্রমের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্তৃক বিবেচনার প্রচলন রয়েছে। এরূপ ক্ষেত্রে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিবেচনা করতে পারবে বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে।
‘কিন্তু নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র ৭০ শতাংশ উপস্থিতির কারণে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া সঠিক হবে না।’
৩ আগস্ট প্রকাশিত নতুন পরিপত্রটি নিচে হুবুহু তুলে দেওয়া হলোঃ
Leave a Reply