ইউরোপের সেরা চার বিশ্ববিদ্যালয়
পুরো পৃথিবীর মেধাবীদের মিলনমেলা এই শতাব্দী প্রাচীন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অসংখ্য মেধাবী, গুণী বিশ্ব নেতাদের গড়ে তুলেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন নিজে স্কলারশিপ নিয়ে চলে এসেছিলেন এখানে পড়ার জন্য। বাদ যাননি উপ-মহাদেশের কিংবদন্তিরাও। বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনসহ ২৫ জন প্রধানমন্ত্রী। এমনি রয়েছে এর হাজারো সাফল্যগাঁথা। বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক পরিচিত অক্সফোর্ড ডিকসনারি তৈরি হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে। এখানে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার এবং পুরো বিশ্বে এর প্রায় ৫০টি শাখা অফিস আছে। বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন ডা. জন হুড। সর্বকালের সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থান করছে শীর্ষ তালিকার প্রথম স্থানে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় :
ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ শহরে অবস্থিত পৃথিবীর সপ্তম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ইংরেজি ভাষী বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরপরই বিবেচিত হয়ে আসছে। ১২০৯ সালে স্থাপিত হওয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। কথিত আছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিদ্বান স্থানীয় লোকদের সাথে বিবাদের জের ধরে সে শহর ছেড়ে চলে যান এবং ক্যামব্রিজ শহরে এসে নিজেদের সংগঠন গড়ে তোলেন। সে সংগঠনটিই আজকের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। পড়াশুনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিচালনা করে থাকে ক্যাম এফএম নামে একটি রেডিও স্টেশন। ব্রিটেনের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে শীর্ষ তালিকার ২য় স্থানে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় :
শীর্ষ তালিকার তৃতীয় তালিকায় রয়েছে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। ১৫৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮শ’ শতকে ‘ইউরোপে আলোকিত যুগ’ নামের যে বিরাট বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন ঘটে, তার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল। আর এ কারণে আজও এডিনবরাকে ‘উত্তরের অ্যাথেন্স’ নামে ডাকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইংরেজি ভাষাভাষী বিশ্বে ষষ্ঠ এবং স্কটল্যান্ড-এর সবচাইতে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো পৃথিবীতে বিখ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। এ কলেজ থেকে ইতিমধ্যে ৬ জন নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে, যার মধ্যে ৫ জন চিকিত্সা বিজ্ঞানে এবং অপর জন রসায়ন বিজ্ঞানে। সবশেষ অনুষদটি হচ্ছে প্রকৌশল অনুষদ। এখানে মোট বিভাগের সংখ্যা ৭টি। বিশ্বে সর্বপ্রথম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারেই আবিষ্কার হয় কার্বন-ডাই অক্সাইড।
লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজ :
১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া লন্ডনের অন্যতম প্রাচীন কলেজ লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজ। মূলত গবেষণার জন্য বিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিই লন্ডনে সর্বপ্রথম ছেলেদের শিক্ষার পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমী রাঙ্কিং অনুযায়ী এটি সাড়া বিশ্বে ৩য় এবং ব্রিটেনে ২য় অবস্থানে রয়েছে এবং টাইম ম্যাগাজিন এর জরিপে এটি ইউরোপে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি কলেজে পড়াশুনা করছে মোট ২৪,৬৮০ শিক্ষার্থী। অধ্যাপক মাইকেল আর্থার নিযুক্ত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকাংশ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের কার্যক্রম শুরু করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় নামে। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজ।
Leave a Reply