‘ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক দেশের তুলনায় উন্নত। এখানে শিক্ষাগ্রহণ করলে শিক্ষার্থীদের বসে থাকতে হবে না বা চাকরির জন্য ঘুরতেও হবে না’। এ কথা জোরের সঙ্গে বললেন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ’র (এআইইউবি) অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মু. গোলাম মোস্তফা।
গোলাম মোস্তফা জানান, ভারতে শিক্ষা শেষে দেশে এসেই তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। তবে তিনি বলেন, ইদানিং ছাত্র-ছাত্রীরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে গিয়ে পড়াশোনা করছেন। এর কারণ হলো ভারতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা কাজের সুযোগ পান না। কিন্তু অন্য দেশে গেলে কাজের সুযোগ হয়। সেজন্য সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি করতে কাঙ্ক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী পাচ্ছে না।
রাজধানীর পান্থপথ সংলগ্ন বসুন্ধরা সিটিতে শুক্রবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে দুই দিনব্যাপী ‘ইন্ডিয়া এডুকেশন ফেয়ার-২০১৫ ঢাকা’ উদ্বোধন করেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (এডুকেশন) জে.বি. মুখার্জি।
শিক্ষা মেলায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রতিনিধিরা ছাড়াও বাংলাদেশের এজেন্টরাও উপস্থিত রয়েছেন। মেলায় এসে ভারতে শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ভর্তি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ধীরে ধীরে জমে উঠছে মেলা। আয়োজকরা আশা করছেন শেষ দিন শনিবার (২৫ জুলাই) মেলা আরও জমে উঠবে।
মেলার আয়োজন করেছে সেপ (SAPE)। ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সেপ’র শিক্ষা মেলার পর সর্বাধিক মেলা হলো সেপ ক্যারিয়ার মেলা। এ মেলা ১৮টি দেশে সম্প্রসারিত হয়েছে। মেলা ঘুরে জানা যায়, উন্নত যে কোনো দেশের চেয়ে ভারতেই এখন আরও উন্নত শিক্ষা। যার মান অনেক।
জে.বি. মুখার্জি ৩০টি স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের প্রমোদ কুমার (অ্যাটাশে শিক্ষা), সঞ্জয় থাপা প্রমুখ।
শিক্ষা মেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- Assam Down Town University, ADAMAS, GOLDEN REGENCY INSTITUTE OF HOSPITALITY MANAGEMENT GROUP OF COLLEGE (KOLKATA), GEETA, JIS GROUP, IEM GROUP, ITM, ABBS (NAAC), NSHM (BALIGANJ- KOLKATA, DURGAPUR), A.P. GOEL SIMLA UNIVERSITY বিবিধ।
সৌজন্যেঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply