প্রকৃতির ছায়াঢাকা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। নানা প্রজাতির পাখির কিচির-মিচির সুর। নগরের কোলাহলমুক্ত। এমনই মনোলোভা সৌন্দর্যমণ্ডিত সবুজাভ পরিবেশে রঙ-বেরঙের সুউচ্চ দালান নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সবুজে ঘেরা এই বিশ্ববিদ্যালয় গত ২২ জুন ২০১৫ তারিখ, সোমবার পার করেছে গৌরবময় সাফল্যের দীর্ঘ নয়টি বছর। নিজস্ব ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২৩ জুন ২০১৫ তারিখ, মঙ্গলবার পদার্পণ করেছে দশম বছরে।
নোয়াখালী জেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং সোনাপুর শহর থেকে ৩ কি. মি. দক্ষিণে সোনাপুর-সুবর্ণচর সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ১০০ একর জমির উপর অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উৎসবের দিনটিকে বর্ণিল করে তুলতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা রঙ-বেরঙের ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছিলো। করা হয়েছিলো রঙিন এবং আলোকশয্যা। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এ বিদ্যাপীঠকে আনন্দ-উৎসবে মুখর করে তুলতে মুখিয়ে ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নবম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দিবসটি উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হয়নি।
প্রতিষ্ঠা
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৃতি ও জনপদের মাঝে যে বিপুল ও অমিত সম্ভাবনা লুকায়িত রয়েছে, কেবল আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির মাধ্যমেই তার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধন সম্ভব। বস্তুত এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাংলাদেশ সরকারের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০১ সালে নোয়াখালীতে একটি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২০০১ সালের ১৫ জুলাই সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১’ জারি হয়। এই আইন কার্যকর হয় ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট। এরপর যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালের ২২ জুন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বর্তমান অগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চা, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে, পঠন-পাঠন, গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যেই নোবিপ্রবির যাত্রা। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার অবহেলিত উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনধারায় নতুন গতিবেগ সঞ্চারের উদ্যোগ নেওয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো তার অভিষ্ট লক্ষে পৌছাতে পারেনি। দীর্ঘদিন যাবত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (রেজিস্ট্রার) পদে স্থায়ী কোনো রেজিস্ট্রার না থাকায় এবং পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) পদে কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রশাসনকি কর্মকাণ্ডে গতি আসছে না। তাই রেজিস্ট্রার এবং পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) এই ৩টি পদে যোগ্যতাসম্পন্ন মেধাবী জনবল দ্রুত নিয়োগের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং শিক্ষার্থীদের।
এক নজরে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
অবস্থান: সোনাপুর, নোয়াখালী; মোট আয়তন: ১০০ একর; ফ্যাকাল্টি: ৩টি; বিভাগ: ১৪টি; ডিগ্রি: বিএসসি (অনার্স), বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং), বিএ (অনার্স) এবং এমএস; ছাত্রাবাস: ২টি; (১) ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল এবং (২) হযরত বিবি খাদিজা হল; নির্মাণাধীন হল : ৩টি (১) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, (২) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল এবং (৩) আবদুল মালেক উকিল হল; একাডেমিক ভবন: ২টি; ছাত্রছাত্রী সংখ্যা: প্রায় ৩,৫০০ জন; শিক্ষক: ১০৫ জন; কর্মকর্তা: ৬০ জন; কর্মচারী: ১৪৩ জন; রিসার্চ সেন্টার: বোর্ড অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ; শিক্ষার মাধ্যম: ইংরেজী; লাইব্রেরি: ১৫০০টি শিরোনামের ৮,৩৫০টি বই; ২০০টি শিরেনামের ৩১৪টি জার্নাল। বিভাগ: ১) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ২) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স, ৩) ফার্মেসি, ৪) অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ৫) মাইক্রোবায়োলজি, ৬) অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিক্স, ৭) ইংরেজি, ৮) ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশন সায়েন্স, ৯) অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড হ্যাজার্ড স্টাডিজ, ১০) বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ১১) ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ১২) ইকনোমিক্স অ্যান্ড পোভার্টি স্টাডিজ, ১৩) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৪) কোস্টাল অ্যাগ্রিকালচার বিভাগ।
বর্তমান ভৌত অবকাঠামো: ভূমি একশত একর; পাঁচ তলা বিশিষ্ট প্রথম একাডেমিক ভবন; চারতলা বিশিষ্ট দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন (ফাউন্ডেশন দশ তলা); চারতলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন (ফাউন্ডেশন পাঁচ তলা); চারতলা বিশিষ্ট ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল (ছাত্র হল); চারতলা বিশিষ্ট হযরত বিবি খাদিজা হল (ছাত্রী হল); উপাচার্যের বাংলো, বাউন্ডারি, গ্যারেজ ও গার্ড শেডসহ; চারতলা বিশিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা ডরমিটরি; চারতলা বিশিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা অ্যাপার্টমেন্ট; চারতলা বিশিষ্ট স্টাফ ডরমিটরি; দোতলা বিশিষ্ট ভিআইপি গেস্ট হাউজ (ফাউন্ডেশন তিন তলা); পাঁচ তলা ভিতের ওপর দুই তলা অডিটোরিয়াম-কাম মাল্টিপারপাস বিল্ডিং (মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়াম); সেমিপাকা মসজিদ; সেমিপাকা কেন্টিন শেড; সেমিপাকা আনসার শেড; পাম্প হাউজ ও আয়রন রিমোভার প্লান্ট; বিদ্যুত সাব স্টেশন ও জেনারেটর হাউজ; মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য; কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার; ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ রাস্তা পাকা করা হয়েছে; প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি; ক্যাম্পাসের বাইরে মান্নান নগরে গভীর নলকূপ স্থাপন ও পাম্প হাউজ নির্মাণ ঢাকায় দু’টি ফ্ল্যাটে গেস্ট হাউজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়াকরণ; পুকুর দু’টি; বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক একটি ফাস্ট ফুড সপসহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখের অংশে সীমানা প্রাচীর তৈরি। এছাড়া পাঁচশ’ আসনের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ ছাত্র হল (নিচতলা-৫ম তলা); ছয়শত পঁচিশ আসনের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব’ ছাত্রী হল (নিচতলা-৫ম তলা); পাঁচ তলা ভিত বিশিষ্ট আবদুল মালেক উকিল ছাত্র হল (নিচতলা-৪র্থ তলা); চার তলা ভিত বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন (নিচতলা); ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ সিস্টেম এর নির্মাণ; বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস-মাইক্রোবাস সমূহের জন্য একটি স্বতন্ত্র গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা: শিক্ষক-কর্মকর্তা কোয়ার্টার (নিচতলা-৫ম তলা) ই-টাইপ; শিক্ষক-কর্মকর্তা কোয়ার্টার (নিচতলা-৫ম তলা) ডি-টাইপ; শিক্ষক-কর্মকর্তা কোয়ার্টার (নিচতলা-৫ম তলা) সি-টাইপ; শিক্ষক ডরমিটরি (নিচতলা-৫ম তলা); অফিসার্স ডরমিটরি (নিচতলা-৫ম তলা); স্টাফ কোয়ার্টার বি-টাইপ (নিচতলা-৫ম তলা)-০২টি; দশ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট ২য় একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (৫ম-১০ম তলা); চার তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ (২য়-৪র্থ তলা); প্রশাসনিক ভবন ও দু’টি একাডেমিক ভবনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য ওয়ার্কওয়ে নির্মাণ; তিন তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মসজিদ (নিচতলা-২য় তলা); নোবিপ্রবি প্রাইমারী স্কুল; অভ্যন্তরীণ সকল রাস্তা নির্মাণ; অভ্যন্তরীণ ড্রেনেস সিস্টেম; অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন।
প্রকৃতি কন্যা ও পর্যটন কেন্দ্র
বর্তমান ভাইস-চ্যান্সেলরের উদ্যোগে ব্যতিক্রমীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সাঁজাতে নানা ফুলের বাগান তৈরিসহ বনজ, ফলজ ও ওষধি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস লাল-সবুজে ঘেরা আবহমান বাংলার শৈল্পিক কোমলতায় মনোরম পরিবেশে বেষ্টিত। বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় মনোমুদ্ধকর নানান রঙের, গন্ধের ও বর্ণের ফুলে ফুলে বর্ণিল রূপে মাতোয়ারা এই ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই দেখা মিলবে লাল কমলের লেক, দু’ধারে রয়েছে সারি সারি মেহগনি ও নারিকেল গাছসহ নানারকম ফলজ গাছ। বাহারি রঙের ডালিয়া, গাঁদা, গ্লাডুলাস, গোলাপ, ক্যালেন্ডুলা, কসমস, হলিহক, জিনিয়া, বোতামফুলসহ নানান ফুলে সু-সজ্জিত রয়েছে প্রশাসনিক ভবনের সামনের ফটক। ঠিক যেন শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি। এ মনোমুগ্ধকর ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ানোর আর্কষণই ভিন্নরকম।
ভাইস-চ্যান্সেলরের কথা
শিক্ষাবিদ, গবেষক, কলাম লেখক প্রফেসর ড. মো. অহিদুজ্জামান গত ৩১ মে নোবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি নিয়োগ লাভ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-উন্নয়ন ও গবেষণার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ ও এলাকার জনগণের সহযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ ও উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিলাভের ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজই হচ্ছে জ্ঞান বিতরণ। মানসম্পন্ন প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদেশ্যই হলো আমাদের একমাত্র প্রয়াস। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দেশের অন্যতম উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যতদিন থাকবো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সততা, জবাবদিহিতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। তিনি একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলকে নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। ভিসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করে মুক্ত জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলাই আমার স্বপ্ন। সক্ষম সুদক্ষ গ্রাজুয়েট তৈরি করা- যারা বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে দেশকে সম্মৃদ্ধশালী করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার সহযোগিতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। সর্বোপরি দক্ষতা, কর্তব্য নিষ্ঠা ও সততায় দিক্ষিত হোক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিজিটাল কার্যক্রম, ধাবিত হোক জাতীয় উন্নয়নের মহা সরণিতে এটাই আমার কামনা।
ভিসির মতো নোবিপ্রবির কাছেও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলবাসীর অনেক প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশা পূরণের এবং সে-স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব এর শিক্ষার্থীদেরই নিতে হবে।
মূল লেখকঃ মাহমুদা পাপড়ী ও প্রিন্স
বাংলানিউজে পূর্বে প্রকাশিত
Leave a Reply