আগামীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) অংশ বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩০ মে’২০১৫ শনিবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এমসিকিউ পদ্ধতিতে ৪০ নম্বর অসৎ উপায় অবলম্বন করে পাওয়া সহজ। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তা করছি। এমসিকিউ স্বাভাবিক পরীক্ষা পদ্ধতিকে নষ্ট করছে।
এর আগে মন্ত্রী বলেন, কিছু শিক্ষক পরীক্ষার আগেই নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন ফাঁস করেছেন। যে কারণে নম্বর পাওয়া সহজ হয়ে গেছে।
শনিবার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, এমসিকিউ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অনেক তথ্য রয়েছে। কিছু জায়গায় হাতে নাতে ধরা হয়েছে। শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে ধরা হয়েছে। এমসিকিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষকরা এ ধরনের জালিয়াতি করে থাকে।
এদিকে গত ২১ মে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে টঙ্গী শফিউদ্দিন সরকার অ্যাকাডেমি অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
রসায়ন পরীক্ষা চলাকালীন নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শুরুর দুই ঘণ্টা আগেই প্রশ্ন ফাঁস করেন ওই শিক্ষক।
শফিউদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীদের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র টঙ্গী কলেজে প্রশ্ন পাঠান তিনি। এ সময় বিষয়টি হাতে নাতে ধরে ফেলে শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক দল। এরপর সব দায়িত্ব থেকে শহিদুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়।
এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এমসিকিউ পদ্ধতি বাতিল করার কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবছর গড় পাসের হার ৮৭.০৪ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং কারিগরিতে পাসের হার ৮৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
এবার মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ এগারো হাজার ৯০১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন।
সূত্রঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply