এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। মূলত পরীক্ষার হলে শিক্ষকদের নকল সরবরাহ বন্ধে ও প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
উভয় স্তরেই অবজেকটিভ পরীক্ষায় ১০ নম্বর করে কমছে। ওই ১০ যোগ হবে রচনামূলক প্রশ্নের ক্ষেত্রে। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
১০ মে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে প্রশ্নপত্রের কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে ‘কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পরীক্ষাকালে অনাকাঙ্ক্ষিক কাজ করছেন। তাদের কেউ কেউ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার পর তা নিয়ে বসে পড়েন উত্তর তৈরির জন্য। এরপর সহযোগিতার জন্য তা শিক্ষার্থীদের কাছে দেন। আমরা এমন বেশকিছু শিক্ষককে চিহ্নিত করেছি। এখন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। এরপর তাদের শাস্তি দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, মূলত নকল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশ্নপত্রের কাঠামোতে পরিবর্তন আর ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার সময়সীমা কমানোর প্রস্তাব আসে। এই দুটি দিকে নজর দিতে গিয়ে এসএসসি ও এইচএসসির পাঠ্যবইয়েও সংস্কার আনতে হচ্ছে।
বর্তমানে এসএসসি এবং এইচএসসি উভয় স্তরে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালু আছে। এই পদ্ধতিতে বর্তমানে বিজ্ঞান বিভাগে রচনামূলক ৪০ এবং অবজেকটিভে ৩৫ এবং ব্যবহারিকে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হচ্ছে। মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজে রচনামূলক ৬০ নম্বর এবং অবজেকটিভে ৪০ নম্বরে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। নতুন প্রশ্ন কাঠামোতে বিজ্ঞান বিভাগে রচনামূলকে নম্বর হবে ৫০, অবজেকটিভে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ব্যবহারিকে বর্তমান নম্বর ঠিক থাকবে। মানবিক ও বিজনেস স্টাডিজে রচনামূলকে ৭০ এবং অবজেকটিভে ৩০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে।
সৌজন্যেঃ ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
Leave a Reply