সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা চেয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে দশ হাজারেরও বেশি শূন্য পদে নিয়োগ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে সারসংক্ষেপ পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতি এবং পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে ৩৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হয়। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এই পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে।
জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে মন্ত্রণালয়ের অধীনে দ্রুতই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষার বিঘ্ন ঘটা ছাড়াও শিক্ষকদের দাপ্তরিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকের শূন্যতা পূরণে প্রধানমন্ত্রী নিজেও তাগাদা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল আরেক কর্মকর্তা।
গত ১৮ মার্চ ‘সকল শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি ও ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন’র লক্ষ্যে জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply