স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবহেলায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেলে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি হওয়া ৭শ’ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ভর্তির দেড় বছর পরও আইনি জটিলতায় রেজিস্ট্রেশন না পেয়ে শিক্ষার্থীরা চরম হতাশ। মানবিক দিক বিবেচনায় তারা রেজিস্ট্রেশন দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে ‘রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার সুযোগ’ দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. রেজওয়ান জানান, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্ডে ৪৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ প্রায় সাতশ’ শিক্ষার্থী ভর্তি করে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবহেলায় এসব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশনের আগেই সে ফল বাতিল করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা উচ্চ আদালতে রিট করে। পরে আদালত ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার আদেশ দিলেও মন্ত্রণালয় তা দেয়নি। মন্ত্রণালয়ও আদালতে এ বিষয়ে আপিল করে তা স্থগিত করে দেয়।
রেজওয়ান বলেন, গত দেড় বছর ধরে এসব শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে এলেও উচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না।
শিক্ষার্থী মো. শামীম আহমেদ বলেন, এসব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশনের আশায় অন্য কোথাও ভর্তিও হয়নি। রেজিস্ট্রেশন না পেলে এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
শামীম বলেন, কিছুদিন আগে এ শিক্ষাবর্ষের প্রফেশনাল পরীক্ষা শুরু হলেও রেজিস্ট্রেশন বঞ্চিত থাকায় আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি।
আগামী ছয় মাস পর আবারও এ শিক্ষাবর্ষের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষার আগে অন্তত রেজিস্ট্রেশন হলে এসব শিক্ষার্থী প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে পারবে।
শিক্ষার্থী মুজাহিদ সজল বলেন, সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারি মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের অবদান কম নয়। সরকার চাইলে রেজিস্ট্রেশন দিতে পারে। রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অবহেলাকে দায়ী করে সজল বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইলে একটি রিটের আবেদন, আপিল এতদিন চলতো না। তারা শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস হোক এমনটি চায়। আইনি জটিলতায় এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন শেষ না করে মানবিক বিবেচনায় রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।
অনশনে তানজির রহমান উৎস, বিনয় কুমার শীল, বিজয়সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বক্তব্য রাখেন।
সূত্রঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply