ঐ যে দেখ বড় বড় অট্টালিকা কত, ঐ যে দেখ টাওয়ার সারি দাঁড়িয়ে আছে যত, এসব কিছু তৈরিতে যারা ঝরিয়েছে গায়ের ঘাম, আমরা কি ভাই দিতে পেরেছি তাদের ন্যায্য দাম!
ঐ যে দেখ দূর দুরান্তে
চলে গেছে রাস্তা আঁকাবাঁকা, ঐ যে দেখ দিবা-রাত্রে
ঘুরছে কলের চাকা,
এসব কিছু তৈরিতে যারা দিয়েছে তাদের বল,
মহাসুখে মহারাজারা, শ্রমিকের চোখে জল।
ঐ যে দেখ রাস্তা-ঘাটে চলছে শত গাড়ি, যার বিনিয়য়ে, স্বল্প সময়ে ফিরছি মোরা বাড়ি, এসব চলতে খাটছে যারা, সারা দিনমান আমরা কি ভাই দিতে পারছি তাদের সম্মান!
ঐ যে দেখ দালানকোঠা, ঐ যে দেখ রঙ্গিন বাড়ি, ঐ যে দেখ যাচ্ছে নারী, গায়ে তাহার রঙ্গিন শাড়ি এসব শিল্পে অবদান রেখেছে যাদের কারুকাজ, আমরা কি ভাই দিচ্ছি তাদের ন্যায্য মূল্য আজ!
এই যে দেখ রঙ্গিন পোশাক দিচ্ছি মোরা গায়, এই পোশাকের কারিগররা দেখ কত অসহায়। ধ্বংসযজ্ঞ সাভারে যারা হারিয়েছে প্রাণ, ইতিহাসে থাকবে মোদের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ।
সমাজ-সভ্যতার সকল বিনির্মাণ হয়েছে যাদের ত্যাগে, হাদিস বলে শোধাও ঋণ তার ঘাম শুকানোর আগে।
সৃষ্টির সেরা হয়ে মোরা হারিয়েছি সকল বুদ্ধি, লাজ তাইতো বলি ভাই, সময় বেশী নাই, দেনা-পাওয়ানার হিসাব-নিকাশের সময় এসেছে আজ।
শ্রমিকের স্বার্থ, শোধাও ন্যায্য অর্থ, শুধু মে দিবসে এটাকে তুমি রেখ না সীমিত, সুষম-নাজ্য সমাজ, গঠনের সময় নাই বেশী আজ, সময় থাকতে শোধাও তুমি, তোমার ঋণ আছে যত।
Leave a Reply