০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন। দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এবারের সমাবর্তন।
বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে সাভার ক্যান্টনমেন্টে নেমে সড়ক পথে সমাবর্তনে যোগ দেন রাষ্টপতি আবদুল হামিদ। সমাবর্তনে রাষ্টপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক দেন।
এ ছাড়া সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী আট হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন,”দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সময়ের বিবেচনায় সরকার দেশে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নিয়েছে।”
তিনি বলেন,” দেশে বর্তমানে শতাধিক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে।”
উচ্চশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে আর্ন্তজাতিক র্যাংকিংয়ে এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়েছিল।
সরকার বহির্বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গ্রেডিং পদ্ধতির ক্রেডিট সিস্টেম ও শিক্ষাবর্ষের সমন্বয় করায় এই ব্যবধান কমে আসছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
গ্রাজুয়েটদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা মানবতার সেবায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের আজকের এ পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে রয়েছে সমাজ ও রাষ্ট্রের খেটেখাওয়া মানুষের অবদান।”
গ্রাজুয়েটদের এই ঋণ শোধ করতে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য।
দলমত ও পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি কতটা দায়িত্ব পালন করছি, সেটাই বড় কথা”।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বিশেষ বক্তব্য দেন সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো অতিথি ছিলেন- শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন প্যান্ডেলে আয়োজন করা হয় সঙ্গীতানুষ্ঠানের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনার জনপ্রিয় সব গানে মেতে ওঠেন জাবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জাবি ভিসি প্রফেসর ড. ফারজানা ইসলাম সামনের সারিতে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন।
Leave a Reply