উপবৃত্তির টাকা এখন থেকে মোবাইল ফোনে

উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এতোদিন ব্যাংকের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে। কিন্তু আর ব্যাংকে নয়, ভিশন-২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল ফোনেই উপবৃত্তি পাবেন শিক্ষার্থীরা। বিকাশ বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির এ টাকা পেতে পারেন।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।

খুব কম সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদনের জন্য একনেক বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। আর অনুমোদন পেলেই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।

দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় অবস্থিত কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে। এতে করে দেশের সকল উপজেলায় এই কাযর্ক্রম অব্যাহত থাকবে।

নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করা, ছেলে-মেয়েদের মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণ, মেয়ে শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, পরীক্ষায় পাশের হার বৃদ্ধির উদ্দেশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি’ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উপবৃত্তি দিতে চাই।

এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য হুমায়ুন খালিদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা গেছে, পুরাতন ধ্যান-ধারণা পরিহার করে ভিশন-২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং বা বিকাশ বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হবে।’

এর মাধ্যমে এই প্রথম উপবৃত্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ব্যবহার উঠে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে নারী শিক্ষা অর্জন সহায়ক হবে এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য মোবাইল ফোনে মুহূর্তের মধ্যে উপবৃত্তি পাবে।’

প্রকল্পের আওতায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪০ ভাগ ছাত্রী ও ১০ ভাগ ছাত্রকে উপবৃত্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দেওয়া হবে। অপরদিকে এইচএসসি পর্ায়ে বিজ্ঞান শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ দেওয়া হবে। এইচএসসি পর্যন্ত ছাত্রীদের বিবাহ রোধ করে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অপরদিকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি করবে। গরীব পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধ করবে।

অপরদিকে প্রকল্পের মাধ্যমে চরম প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, উপর্জানে অসমর্থ, পঙ্গু, বোবা ও অন্ধ পিতা-মাতার সন্তানেরা মোবাইল ফোনে উপবৃত্তি পাবে। তারা যাতে করে টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ কিনতে পারেন। এতে করে উপবৃত্তির টাকা পেতে আর ব্যাংকে যেতে হবে না, হাতে মোবাইল ফোন থাকলেই চলবে।

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*