জবি ক্যাম্পাস: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে ‘চলমান সহিংসতা, জ্বালাও পোড়াও, সাধারণ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চক্রান্তের প্রতিবাদে’ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর নেতৃত্বে সোমবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে (জনসন রোডে) এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “চলমান সহিংসতায় যারা মৃত্যু বরণ করছে, আগুনে দগ্ধ হচ্ছে তারা মূলত সাধারণ জনগণ; তারা কোন প্রকার রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। হরতাল-অবরোধ ডেকে কোন নেতা-কর্মীদের মাঠে দেখা যায় না। সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তদের চুক্তির মাধ্যমে এধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তদের মাধ্যমে মূলত টাকার বিনিময়ে তারা পেট্রোল বোমার নিক্ষেপ করাচ্ছে। বর্তমানে রাজনীতির নামে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস ও আল-কায়েদার ন্যায় সহিংসতা চালানো হচ্ছে। চলমান সহিংসতার দোষীদের চিহ্নত করতে হবে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এই সহিংসতা বন্ধে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই সহিংসতার নির্দেশ দাতাদেরও চিহ্নত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮নং অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশের অধিকার দেয়া আছে। কিন্তু রাজনীতির নামে এই ধরনের সহিংসতা, অবরোধ আইনত অবৈধ। বর্তমানে রাজনীতি নামে যা হচ্ছে তা হলো বার্ণ ইউনিটে দগ্ধ শিশু, মহিলা ও সাধারণ মানুষের দেহ এবং টেলিভিশনের টকশো। এসকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে জনজীবন থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যবস্যা-বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রে যারা দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তাদের সহিংস কার্যকলাপ থেকে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। রাজনীতি করতে হবে সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য, তাদের ধ্বংসের জন্য নয়।”
জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ আলী নূরের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে জবি নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আশরাফ-উল-আলম, সাধারণ সম্পাদক ড. নূর মোহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সদস্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদ আলম, কর্মচারী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাল্লাউদ্দিন মোল্লা, কর্মচারী (সহায়ক) সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা এধরনের সহিংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আরো কঠোর থেকে কঠোরতর হবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জাননো হয়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তান (জবি), আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজসহ পুরান ঢাকার কলেজ ও স্কুল, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও স্থানীয় এলাকবাসী মানববন্ধন কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে।
Leave a Reply