বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কৃষি পুলে সরাসরি নিয়োগে কৃষিবিদদের পদ সংখ্যা সংকোচনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে কৃষি অনুষদ ছাত্রসমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দেন কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং সাবেক ছাত্রগন। এসময় কৃষিবিদ ইন্সষ্টিটিউট, সিলেট জেলা চ্যাপ্টারের নেতৃবৃন্দ এ মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন এবং এগ্রোনমি ও হাওর এগ্রিকালচার বিভাগের প্রফেসর ড মো: নূর হোসেন মিয়া কৃষিবিদ ইন্সষ্টিটিউট, সিলেট জেলা চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জামাল উদ্দিন ভূঞা, ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও চা উৎপাদন প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. সাইফুল ইসলামসহ কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, মাস্টার্স ও অনার্স লেভেলের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মানববন্ধন শেষে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুব্রত দেবনাথের সঞ্চালনায় একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিনিয়র ছাত্র সৌরভব্রত দাস বলেন- বাংলাদেশের কৃষি গ্রাজুয়েটদের সাথে অন্যায় আচরন করা হচ্ছে।
প্রফেসর নূর হোসেন মিয়া বলেন, কৃষি প্রধান এ দেশে কৃষিবিদদের ভূমিকা অনেক। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা যাদের হাত ধরে এসেছে তাদেরকে রুখে দিলে বাংলাদেশের বড় ক্ষতি হবে। বিএডিসির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে কৃষিবিদদের আগের পদ সংখ্যা বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।
কৃষিবিদ ইন্সষ্টিটিউট, সিলেট জেলা চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, বহু আগে থেকেই কৃষিবিদসহ টেকনিক্যাল গ্র্যাজুয়েটদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা কৃষিবিদ এবং এসএসসি পর ভর্তি হওয়া কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের মানের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। যোগ্যদের বঞ্চিত করে কম-যোগ্যদের সুয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত খুবই হতাশা জনক। আমরা মাননীয় আদালতের কাছে অবিলম্বে এই হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) কৃষি পুলে সরাসরি সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে ৭৫ শতাংশ পদ কৃষিবিদদের জন্য বরাদ্দ ছিল আর বাকি ২৫ শতাংশ ছিল ডিপ্লোমাধারিদের জন্য। তবে হাইকোর্টের একটি রুলে ডিপ্লোমা পাস করাদের জন্য ৭৫ শতাংশ এবং বিএসসি ইন এগ্রিকালচারদের জন্য পদ সংখ্যা বরাদ্দ করা হয়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি স্মারকলিপি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিলি করে।
Leave a Reply