ড. শাহ জাহান মিয়া। একজন ইনফরমেশন সিস্টেমস রিসার্চার। বর্তমানে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(http://www.vu.edu.au)। তিনি অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়(www.griffith.edu.au) থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করেন। এর আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড ফিজিক্স এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করেন। ড. শাহ এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশটিরও বেশী আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে নিজের গবেষণাকর্ম নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। ৫০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে তাঁর।সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(http://goo.gl/9zy2ot) সহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সেমিনারে রিসোর্স পারসন হিসেবে নিজের গবেষণাকর্মের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। রাজশাহীর বিহাসে এক সন্ধ্যার আলাপচারিতায় ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষাসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় ড. শাহ’র সাথে।
প্রথমে আপনার সম্পর্কে জানতে চাই।
আসলে আমার সম্পর্কে বলতে আমি একজন সাধারণ মানুষ। খুব সাধারণ খাবার পছন্দ করি, খুব সাধারণ ইন্টারএকশন পছন্দ করি সবার সাথে, খেলাধুলা করি যেমন গলফ খেলি; ফুটবল খেলি; হাঁটতে পছন্দ করি। ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটি, হাঁটতে ভাললাগে। অস্ট্রেলিয়ান কালচারে এইটাকে বলা হয় ‘বুশ ওয়াক’। তো বুশ ওয়াকিং করতে যাই মাঝেমধ্যে। জঙ্গলের পাশ দিয়ে, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে হাঁটি। আর লেখাপড়া ভালবাসি ডেফিনেটলি। এ্যাকচুয়ালি এটা এখন একটা মোটিভেশন হয়ে গিয়েছে। প্রফেশনালি আমি একজন শিক্ষক। একজন রিসার্চার। এই কাজগুলো খুব ভালবাসি।
পড়াশোনা, ক্যারিয়ার এইসবের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে কেন বেছে নিলেন?
আসলে এইটা নির্ভর করছে তুমি কখন দেশের বাইরে পড়ার চিন্তা করবে, নিজের ক্যারিয়ারের চিন্তা করবে সে ‘সময়’টার ওপর। আমি যখন দেশের বাইরে যাই তখন বাংলাদেশ থেকে প্রধানত সবাই আমেরিকা, ব্রিটেন আর কানাডায় যেত। অস্ট্রেলিয়া যাবার প্রচলনটা এখনকার মত ছিলনা। আমার অস্ট্রেলিয়ায় যাবার কারন ছিল মূলত এর রিসোর্স। এত বড় একটা সম্পদশালী দেশ আর এত কম জনসংখ্যা। আমার কাছে মনে হয়েছিল সেখানে অপরচুনিটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশী হবে। এন্ড ইটস ট্রু। অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। ইভেন থাকার জন্যও অস্ট্রেলিয়া পারফেক্ট। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েদার চমৎকার। লিভিং স্ট্যান্ডার্ডও অনেক রিচ। তবে আর্লি স্টেজে আমি যখন সেখানে যাই সেখানে থাকার চিন্তা আমার ছিলনা। ইচ্ছা ছিল বিদেশের একটা ডিগ্রী নিয়ে দেশে এসে বেসরকারি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করব।
আপনার এরিয়া অফ এক্সপার্টাইজ নিয়ে যদি কিছু বলতেন
আমার এক্সপার্টাইজ, ইন্টারেস্ট এরিয়া হচ্ছে ইনফরমেশন সিস্টেমস। আমি রিসার্চ করি। সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ। স্পেসিফিক্যালি বলতে গেলে এটা হচ্ছে বিজনেস এবং টেকনোলজির ঠিক মাঝখানটা।
আপনার রিসার্চের যে এরিয়া, সেখানে কোন ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টরা মূলত কাজ করে?
এই ফিল্ডে বিজনেস প্লাস আইটি তে যাদের প্রতিভা আছে, ইন্টারেস্ট আছে তারা সবচে ভাল করবে। একটু অন্যভাবে বললে যারা বিজনেস সেক্টরে আইটি নিয়ে কাজ করতে চায় তাদের জন্য এই ফিল্ড। বিজনেসে হাজার হাজার প্রবলেমস আছে। কেও যদি চায়, কারও যদি এইরকম মোটিভেশন থাকে যে বিজনেসের এই প্রবলেমগুলো আমরা একটা ইনোভেটিভ সিস্টেম বা টেকনোলজিক্যাল সলুশনের মাধ্যমে সমাধান করব তাহলে এই এরিয়াটা হচ্ছে আমার এরিয়া। এই স্পেসটা এতই বিশাল যে আমার গত বার বছরের সব রিসার্চ, আমার যত পাবলিকেশন এই বিজনেসের টেকনোলজিক্যাল সলুশনের ওপর।
আমাদের দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আসে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। আর অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে পড়াশোনার জন্য বিশ্বের সবচে ব্যয়বহুল দেশ(http://goo.gl/TayCzC)। সেক্ষেত্রে অধিকাংশ ছেলেমেয়েই অস্ট্রেলিয়াতে টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না। এই ব্যাপারটা নিয়ে যদি একটু বলতেন।
সবার আগে যেটা বলব সেটা হল আগে সিলেক্ট করতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমি যাবে, সেখানে টিউশন ফি কত, যে সাবজেক্টে পড়তে চাও তার ফিউচার প্রসপেক্ট ঐদেশে কেমন। কিংবা দেশে ফিরে আসলে তার ডিমান্ড কেমন এইসব। খোঁজখবর, ইনফরমেশন নিতে হবে। আগে এগুলো এনালাইসিস করতে হবে।
এরপর যদি বলি আমরা যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি তাদের হায়ার স্টাডি করার একমাত্র উপায় হল স্কলারশিপ। মূলত দুই উপায়ে স্কলারশিপ হতে পারে। এক, খুঁজতে হবে তোমার পছন্দের সাবজেক্টে পড়ার জন্য ঐ ইউনিভার্সিটিতে ওরা স্কলারশীপ দেয় কি না। যদিও ইউনিভার্সিটি স্কলারশীপ পাবার সাক্সেস রেট কম তবু অনেকেই ম্যানেজ করে ফেলে। সো এইটা একটু সার্চ করতে হবে। দুই, এইদেশের কোন ইউনিভার্সিটির অথবা কোন অর্গানাইজেশনের কোন স্কলারশিপ আছে কি না। যেমন তুমি যদি ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হও বা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হও তাহলে তুমি কমনওয়েলথের স্কলারশিপের জন্য ট্রাই করতে পার প্লাস সরকারের অনেক রকম স্কলারশিপ আছে, ইউনিভার্সিটিগুলোর নিজস্ব স্কলারশিপ আছে। আবার AusAID নামে একটা স্কলারশিপ আছে সেটার জন্য ট্রাই করতে পার।
আরেকটা উপায় হল যদি তুমি এই দুইয়ের কোনভাবেই স্কলারশীপ ম্যানেজ করতে না পার তাহলে সেক্ষেত্রে খুব ভাল একটা রিসার্চ প্রোপজাল তৈরি করতে হবে, IELTS এ এট লিস্ট ৭.৫ তুলতে হবে। তারপর তুমি এপ্লাই কর। এমন কিছু পেয়ে যেতে পার দেখা যাবে যেটাতে কোন টিউশন ফি নাই। অথবা দুই বছরে ইউনিভার্সিটি তোমাকে কিছু ডলার দিবে যেটা দিয়ে তুমি সব খরচ চালাতে পারবে।
আর নিয়মিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখা, মেইলগুলো চেক করা, প্রফেসরদের সাথে প্রোপার ওয়েতে কমিউনিকেশন করা এইগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইটগুলো দেখে দেখে যেসব ইউনিভার্সিটি টার্গেট করবে সেগুলোর ইনফরমেশন আপডেট নিয়মিত চেক করবে। অনেক সময় হয় কি, বলে দেয় যে এই ফিল্ডে ওদের কয়েকজন পিএইচ ডি স্টুডেন্ট লাগবে। ইউ উইল বি ওয়ান অফ দেম ইফ ইউ টার্গেট দ্যাট ফ্রম আ লং পেরিওড অফ টাইম অ্যান্ড ইফ ইউ হ্যাভ ভেরি ম্যাচিউরড রিসার্চ প্রপোজাল। এই পৃথিবীতে কোথাও না কোথাও তোমার জন্য অপরচুনিটি আছে। তোমাকে শুধু সেটা এক্সপ্লোর করে আবিষ্কার করতে হবে। খুঁজে নিতে হবে।
স্কলারশিপ পেতে পাব্লিকেশন কি থাকা লাগবেই?
পাবলিকেশন তো একটা প্লাস পয়েন্ট। চেষ্টা করবে যত পারা যায় পাব্লিকেশন করতে। কিন্তু পাবলিকেশন ছাড়াও স্কলারশিপ পাবার রেকর্ড আছে অনেক। দেখা যায় তোমার প্রপোজালের জন্য তোমার স্কলারশিপ হয়ে যেতে পারে। প্রপোজালটা খুবই গুরুত্ব বহন করে।
এর জন্য কিছু টেস্ট যেমন IELTS, GMAT, GRE এইগুলো অস্ট্রেলিয়াতে কোনটা কেমন কাজে লাগে?
IELTS খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত ভাল স্কোর করবে স্কলারশিপ পাওয়াটা অনেক সহজ করে দেবে সেটা। বাট GMAT, GRE এইগুলো অস্ট্রেলিয়াতে লাগে না।
CGPA নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দর্শন কেমন?
আমেরিকান ইউনিভার্সিটিগুলোতে যেভাবে CGPA দেখা হয় অস্ট্রেলিয়াতে CGPA কে সে তুলনায় খুব বড় করে দেখা হয়না। তোমার এডমিশন পেতে CGPA খুব বড় ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়াবে না।
অনেকেই পার্ট টাইম জব করে টিউশন ফি দিবে চিন্তা করে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনি কি বলবেন?
পসিবল। বাট খুবই হার্ড হয়ে যাবে। আসলে কেও এটা করতে পারবে কি না টা নির্ভর করবে সেই ব্যাক্তির ক্যাপাসিটির ওপর। তার ক্যাপাবিলিটির ওপর।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক নতুন নতুন বিষয় খোলা হয়। নতুন বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ অনেকেরই থাকে। আর শোনা যায় জব মার্কেটে এই নতুন বিষয়গুলোর ডিমান্ডও অনেক। এই ব্যাপারটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
আসলে জব পাবার ব্যাপারটা কমপ্লিটলি ডিফরেন্ট। একজন মানুষ যখন চাকরির জন্য কোথাও এপ্লিকেশন করে, তার কয়েকটি ‘কী স্কিলস’ দেখা হয়। ফার্স্ট স্কিলস আমরা দেখি ইন্টারপারসোনাল স্কিলস। সেকেন্ডলি আমরা দেখি কমিউনিকেশন স্কিলস। থার্ড দেখি ঐ পারসনের সারাউন্ডিং স্কিলস কি আছে। যেমন লিডারশীপ, টিমওয়ার্ক এইগুলো। এগুলোতে সে কতটা দক্ষ, মার্জিত এবং পেশাদার।
আমরা যখন প্রশ্ন করি তখন তার ডিজাইন এমনভাবে করি যাতে এর মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসে যে ঐ ছেলেটা বা মেয়েটা তার ইন্ডিভিজুয়াল যে ডিসিপ্লিন সেটাতে কতটা ভাল। তবে জব পেতে ইন্ডিভিজুয়াল ডিসিপ্লিনারি নলেজকে সবচে ইম্পরট্যান্ট বলব না। তবে বেসিক ধারনা থাকতেই হবে। ক্লাসিক্যাল কোন একজাম্পল দিবনা। এই পৃথিবীতে ভাল একটা চাকরি পেতে চাইলে তোমাকে শো করতে হবে যে তুমি উইনার। তোমাকে শো করতে হবে ইউ উইল বি দ্যা উইনার, যে কোন পরিস্থিতিতে, যে কোন পরিবেশে। যদি তোমার জব এসেসমেনটের ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে সেটার প্রমাণ দিতে পার, নিজের পটেনশিয়াল দেখাতে পার, জব তোমার নিশ্চিত।
অনেকেই চিন্তা করে যে সেখানে যেয়ে টিচিং এসিস্টেন্ট(TA) বা রিসার্চ এসিস্টেন্ট(RA) হিসেবে কাজ করবে। অস্ট্রেলিয়াতে যেয়ে যেয়েই ইনিশিয়ালি এই কাজগুলো কি করা যায়?
টিচার এসিস্টেন্ট হিসেবে করা যেতে পারে। বাট রিসার্চ এসিস্টেন্ট হতে গেলে কাজগুলো জানতে হয়। যেমন আমার যে রিসার্চ এসিস্টেন্ট আছে অস্ট্রেলিয়ারই নাগরিক, ও এর আগে কখনই রিসার্চ এসিস্টেন্ট ছিলনা। আমি তাকে ট্রেইন করে জবটা দিয়েছি। বাংলাদেশের কেও এই জবটা করতে পারে কিন্তু তাকে খুব সিরিয়াস হওয়া লাগবে। ইংরেজিতে খুব ভাল হতে হবে। এলোমেলো ইংরেজি হওয়া যাবেনা। বাংলাদেশে এসে যে কয়েকটি জিনিস পড়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিশ করা, ইভেন পত্রিকাগুলোও; ভুল আছেই। ভুল ইংলিশ অহরহ দেখছি। দিস ইজ ব্যাড…; ভেরি ব্যাড ! এটা হওয়া ঠিক না। এইটা খুবই ইম্পরট্যান্ট বিদেশে পড়াশোনা করতে ইংরেজি জানা দরকার। আর ইংরেজি জানতে গেলে তোমাকে খুব ভাল, হাই স্ট্যান্ডার্ড ইংলিশ জানতে হবে। আমি বলবনা যে আমার ইংলিশ খুব ভাল। কিন্তু আমি যে ইংলিশ বলি একজন SSC পাশ করা স্টুডেন্টও সেটা খুব সহজেই বোঝে। আমরা যারা নলেজ প্রোভাইডার, আমরা যারা নলেজকে সার্কুলেট করি সারা বিশ্বজুড়ে, আমাদের একটা মোটিভেশন হওয়া উচিত যে উই হ্যাভ টু নো হাউ টু টক। হাউ টু টক বেটার, হাউ টু ইন্টারঅ্যাক্ট বেটার। হাউ টু কমিউনিকেট বেটার উইথ পিপল। সেক্ষেত্রে ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে তোমার মেইন রিসোর্স। কাজেই ল্যাঙ্গুয়েজের ওপর তোমার অত্যন্ত দখল থাকতে হবে। সেটা বাংলা হোক আর ইংরেজি হোক।
আমরা আমাদের কমিউনিটিতে হায়ার স্টাডি নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করছি আমাদের কমিউনিটিকে কিভাবে এই বিষয়টাতে আরও মোটিভেট করা যায়। কিন্তু যারা নিউ কামার। যারা এখনও এই স্বপ্নটা দেখতে ভয় পায়। চিন্তা করে এইসব তো ভাল স্টুডেন্টদের জন্য, তাদেরকে নিয়ে আমরা কিভাবে কাজ করতে পারি? আমাদের কিংবা তাদের জন্য কোন সাজেশন?
হায়ার স্টাডি করতে মোটিভেশন লাগবে। আর লাগবে একটা এক্সট্রা ক্যালিবার। রিসার্চ ওরিয়েন্টেড চিন্তা চেতনা থাকতে হবে। সবাই রিসার্চ করতে পারে না। চিন্তাশীল মানুষ হতে হবে। ধৈর্যশীল মানুষ হতে হবে। আর অত্যন্ত কেয়ারফুল পারসন হতে হবে। এইসব চিন্তা করে, এই বিষয়গুলোকে ফোকাস করে যদি তোমরা মানুষকে মোটিভেট করতে পার তাহলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
বাংলাদেশী স্টুডেন্টদেরকে নিয়ে আপনার কোন প্ল্যান আছে কি না…
বাংলাদেশী স্টুডেন্টদেরকে নিয়ে পরিকল্পনা আছে। এই মুহূর্তে তিনজন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট আমার আন্ডারে পিএইচডি করছে। আমি তাদেরকে সুপারভাইজ করি। তারা আমার সাথে কাজ করে।
শেষকথা…
গরিব ছাত্র, মধ্যবিত্ত ছাত্র… এইগুলো আসলে কোন ব্যাপার না। এই পৃথিবীতে টাকাপয়সার সমস্যা মানুষের জীবনের কোন বড় বাধা না। কেও চাইলেই সেটাকে ওভারকাম করতে পারে।
যদি কারও ইচ্ছা থাকে; স্বদিচ্ছা থাকে আর সেই ইচ্ছাটা যদি সৃষ্টিকর্তার হাত থেকে হয়ে থাকে তাহলে সে অনেক কিছু হতে পারে। এই দেশ থেকেই অনেক বড় বড় মানুষ তৈরি হয়েছে। ড. ইউনুসের কথা যদি সামনাসামনি শুনে থাক তাহলে বুঝবে সেনসেশনাল স্পিচ কাকে বলে ! ফার মোর বেটার দেন আস।
…এপ্লাই করতে হবে, সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
Leave a Reply