দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদানে আমাদের অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে। অর্থের অভাবে তারা যাতে চিকিৎসাবঞ্চিত বা অবহেলার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, রোগীরা হাসপাতালের অতিথি। ফলে আপনাদের কোনো আচরণে তারা যেন মনে কষ্ট না পান, সে দিকে বিশেষ নজর দিবেন।
বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা কম হওয়াকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিপুল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে এই দুই পেশাজীবী বাড়ানোর ওপরও জোর দেন আবদুল হামিদ।
সমাজের প্রতি চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে সমাজ ও রাষ্ট্রের রয়েছে অপরিসীম অবদান। তাই সমাজের কাছে আপনাদের দায়বদ্ধতা সাধারণ জনগণের চেয়ে বেশি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্যান্সার, হৃদরোগ, এইডসহ অন্যান্য প্রাণঘাতি রোগের বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। কারণ এসব রোগের চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও দীর্ঘমেয়াদি।
বিএসএমএমইউ চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণে দেশবাসীকে সচেতন করে তুলতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাতজন চিকিৎসককে সম্মানসূচক পিএইচডি ডিগ্রি ‘অনারিস কজা’ দেওয়া হয়। তারা হলেন- প্রফেসর আবুল কাশেম, প্রফেসর এম এন আলম, প্রফেসর টি এ চৌধুরী, জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিক, প্রফেসর মো. নুরুল আমিন, প্রফেসর রশিদউদ্দিন আহম্মেদ ও প্রফেসর রবিউল হোসাইন।
সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য ৩ জন চিকিৎসককে স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়।
বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ভারতের লক্ষ্ণৌ এর কিং জর্জ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি রবি কান্ত। আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিএসএমএমইউ বিসি প্রাণ গোপাল দত্ত।
তথ্যসূত্রঃ ক্যাম্পাসলাইভ
Leave a Reply