ইসলামি আদর্শালোকে নারী শিক্ষায় জামেয়া মহিলা কামিল মাদরাসা অনন্য ভূমিকা রাখছে – আনজুমান SVP আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন

অদ্য ২৪.০১.২০২৪ খ্রি. বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা কামিল মাদরাসার কামিল ১ম বর্ষের ছবক অনুষ্ঠান ও ১ম শ্রেণি হতে একাদশ শ্রেনি পর্যন্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন সাহেব ।

কামিল হাদিস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সহীহ বুখারী শরীফ হতে ছবক প্রদান করেন- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সুযোগ্য প্রধান মুফতি আল্লামা কাজী আব্দুল ওয়াজেদ সাহেব এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নসীহত মূলক বক্তব্য রাখেন- জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সুযোগ্য শায়খুল হাদীস হযরত আল্লামা হাফেজ সোলাইমান আনসারি সাহেব।

অনুষ্টানের সভাপতি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে- অত্র মাদরাসার কামিল স্তরে উন্নীত হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করে মহান রাব্বুল আলামীন ও তাঁর প্রিয় রাসূলের দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং কামিল পাঠদানের অনুমোদন দেয়ায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি প্রফেসর ড.মুহাম্মদ আবদুর রশীদ স্যার মহোদয় কে আনজুমান ট্রাস্ট, জামেয়া মহিলা মাদ্রাসার গভর্নিং বডির কর্মকর্তাবৃন্দ, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও অভিভাবকবৃন্দের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও মোবারকবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি খুব শীঘ্রই বিশ্বমানের আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরুর ঘোষনা দিয়ে বলেন- অত্র মাদ্রাসার ফলাফল-সাফল্যে আমি অভিভূত ও আনন্দিত। ভবিষ্যতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সকল শিক্ষক- শিক্ষিকার শুকরিয়া আদায় করে এবং
নারী শিক্ষায় জামেয়া মহিলা কামিল মাদরাসা অনন্য ভুমিকা রাখছে” উল্লেখ করে বলেন-পাঠদানে নিরলসভাবে খেদমত করলে কিয়ামতের দিন তা নাজাতের উসিলা হবে।

উল্লেখ্য যে, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক অফিস আদেশের মাধ্যমে অত্র মাদ্রাসায় কামিল (হাদিস) পাঠদানের অনুমোদন প্রদান করে। ফলে অত্র মহিলা মাদ্রাসা চট্টগ্রাম জেলায় একমাত্র মহিলা কামিল মাদরাসার গৌরব অর্জন করে।

আরো জ্ঞাতব্য যে, দেশের বৃহত্তর দ্বীনি সংস্থা আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় সুপরিচালিত অত্র প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ প্রতিযোগিতায় থানা ও চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্ত এবং বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি ও গৌরব অর্জন করেছে। তাছাড়া অসংখ্য শিক্ষার্থীরা আঞ্চলিক, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরষ্কারপ্রাপ্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন – আজনুমান ট্রাস্টের সম্মানিত জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, আনজুমানের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি গিয়াসউদ্দিন শাকের, মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আলহাজ্ব কমর উদ্দিন সবুর ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার প্রমুখ।

এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- ১৯৯৬ সালে আউলাদে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পীরে বাঙ্গাল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ মুঃ জিঃ আঃ এর নুরানি হাতে প্রতিষ্ঠার পর হতে ইসলামী আদর্শালোকে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে এই গৌরবময় মাইলফলকের মূহুর্তে মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন এ সফলতার জন্য মশায়েখ হযরাতে কেরাম, পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষিকামণ্ডলী, অভিভাবক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

এতে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ড. সাইফুল আলমসহ সকল শিক্ষক- শিক্ষিকা , শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচরী উপস্থিত ছিলেন।

পরিশেষে শিক্ষার্থীদের সার্বিক, সফলতা, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর কল্যাণ এবং মুক্তি কামনা করে শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মইন উদ্দীন আশরাফীর দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

বক্তব্য রাখছেন-
আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহসিন সাহেব।





About মাওলানা মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন 50 Articles
তিনি বর্তমানে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা ফাযিল মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রামে শিক্ষকতা করছেন এবং মসজিদ- এ রহমানিয়া গাউসিয়া, শীতলঝর্ণা আ/এ, অক্সিজেন, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম-এ সম্মানিত খতিব হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এর আগে তিনি মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া দরসে নেযামী, মোহরা, চট্টগ্রামে ৫ বছর শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*