১৫অক্টোবর ২০২৩ইং, রবিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মুফতি সাহেব হুজুরের আম্মাজান সৈয়দা সাখিনা বেগম ও সহধর্মিণী মরহুমা আলহাজ্বা সৈয়দা জাহানারা বেগমের মাসিক ফাতেহা শরীফ উপলক্ষে আজিমুশ্শান জশনে মিলাদুন্নবী মাহফিল চট্টগ্রাম বায়েজিদ শীতলঝর্ণা আ/এলাকাস্থ মসজিদ-এ রহমানিয়া গাউসিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে বাদ জোহর হতে পবিত্র খতমে কুরআন, খতমে মজমুওয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল দঃ ও বাদ মাগরিব হতে কুরআন তেলাওয়াত, হামদ, নাতে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, মানকাবাত পরিবেশন, খতমে গাউসিয়া শরিফ এবং বাদ এশা হতে বায়ান-তকরির সম্পন্ন হয়।
এতে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ (সাবেক) মুফতি-এ আহলে সুন্নাত, ওস্তাজুল ওলামা, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী (মঃজিঃআঃ) এর সভাপতিত্ব করেন।
মাহফিলের সভাপতি মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন- প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামাকে ভালবাসা আল্লাহ পাকের নির্দেশ। তাঁর সাথে শত্রুতা পোষণ করা মূলত আল্লাহ সাথে শত্রুতা পোষণ করার নামন্তর। প্রিয়নবীর শুভাগমনের সুসংবাদ যুগে যুগে প্রত্যেক নবীগণ নিজ নিজ উম্মতদের কে দিয়েছেন। তার বর্ণনা কুরআন মজিদে বিদ্যমান। মুমিনগণ রবিউল আউয়াল মাসে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করবে এটাই স্বাভাবিক ও ঈমানের দাবী। কিয়ামত পর্যন্ত পালন করেই যাবে।
তিনি আরো বলেন – আজ ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা নিরীহ মুসলমানদের হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ড বন্ধের ব্যাপারে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য হওয়া সময়ের দাবী।
মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার শিক্ষা হলো প্রিয়নবীকে ভালোবাসে তাঁর নুরানী উত্তম আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের দুনিয়ার জীবনকে সুন্দর করতে হবে। যাতে আখিরাতে মুক্তি ও শান্তি লাভ করতে পারি।
এতে তকরির পেশ করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা চট্টগ্রামের সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরত মাওলানা হাফেজ সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুর রহমান আলকাদেরী ও হযরত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মুনির উদ্দিন আল কাদেরী এবং গুলবাগ জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান হোসাইন কাদেরী প্রমুখ।
বক্তাগণ – সময় মতো নামাজ-কালাম আদায় করা মিলাদুন্নবীর শিক্ষা । তাই নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া সকল মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
অতএব প্রিয়নবীর চরিত্র, আদর্শ অনুসরণের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদের প্রতি আহবান জানান। মিলাদ-কিয়াম দোয়া-মুনাজাত শেষে মুসল্লীগণ তাবারুক গ্রহন করেন।
পরিশেষে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলমানদের বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের কল্যাণ ও মুক্তি কামনায় দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী (মু,জি,আ)।
Leave a Reply