‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’ –এ ফাইভজি পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। দেশের সবচেয়ে বড় এ সফটওয়্যার এক্সপো শুরু হয়েছে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করা হচ্ছে দেশের আইটি এবং আইটিইএস খাতের উদ্ভাবনী সব পণ্য এবং সার্ভিস। এক্সপো’র ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোন এক্সপো’তে নিজেদের স্টলে (পি২৪, হল ২) ফাইভজি প্রযুক্তির বিভিন্ন উদ্ভাবনী ও ভবিষ্যতমুখী ব্যবহার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রেখেছে। গ্রামীণফোনের স্টল পরিদর্শন করে দর্শনার্থীরা ফাইভজি’র সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারছেন।
গ্রামীণফোনের স্টলে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, রোবোটিক আর্ম, রিয়েল-টাইম রিমোট ভিউয়িং-সহ ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, স্পিড টেস্ট এবং এমন অন্যান্য আকর্ষণীয় আয়োজনের মাধ্যমে হাজারো দর্শনার্থী চিকিৎসা, কৃষি, অবকাঠামো ও বিনোদন-সহ বিবিধ ক্ষেত্রে ফাইভজি’র যুগান্তকারী পরিবর্তন সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে পারছেন। তারা ভিআর হেডসেট, কনসার্ট এবং টেক-শো’র পাশাপাশি গেমিং উপভোগ করছেন, যা পুরোপুরি গ্রামীণফোনের ফাইভজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ‘ওয়েলকাম টু দ্য স্মার্টভার্স’ (স্মার্টভার্সে স্বাগতম) – সফটএক্সপো’র এই প্রতিপাদ্যের সাথে একাত্ম হয়ে উপস্থিত দর্শনার্থীদের মাঝে ডিজিটাল এবং ইন্টারনেট প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহ জাগানো এবং প্রযুক্তিখাতের নির্ভরযোগ্য অংশীদার ও শীর্ষ নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সম্ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়াই ফাইভজি পার্টনার গ্রামীণফোনের মূল লক্ষ্য।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “ফাইভজি যোগাযোগ ও প্রযুক্তিখাতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। যার ফলে, কর্মদক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের লক্ষ্য অর্জন ত্বরাণ্বিত করার ক্ষেত্রে নতুন নতুন শিল্পখাতকে সংযুক্ত করবে। তরুণ প্রজন্মসহ সবাইকে ভবিষ্যতের অফুরন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে এবং ডিজিটাল সাক্ষরতার মাধ্যমে কীভাবে আগামীর রূপান্তরের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা যায় সে সম্পর্কে ধারনা পেতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এ এক্সপো।” তিনি আরও বলেন, “একটি ভবিষ্যতমুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন সফটএক্সপো’র অংশ হতে পেরে গর্বিত। চমৎকার সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার জন্য বেসিসসহ এই উদ্যোগের সকল পার্টনারদের ধন্যবাদ।”
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে মেলার পাশাপাশি বিভিন্ন আলোচনা, সংলাপ এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আলোকপাত করা হবে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, ফাইভজি, আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), টেকসই উন্নয়নে শিল্পখাতে ফোরআইআর -এর প্রভাব, দেশীয় প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার, প্রযুক্তি খাতে লিঙ্গ-ভারসাম্য, সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা সায়েন্সের মত বিষয়ে। আইসিটি খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষজ্ঞবৃন্দ, নীতিনির্ধারক এবং অন্যান্য আইসিটি অংশীজনদের মাঝে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে উন্নত সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি এই এক্সিবিশনের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।
Leave a Reply