
সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং জিআইজেড বাংলাদেশের ইম্প্রুভড কোঅর্ডিনেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ফাইন্যান্স এর যৌথ আয়োজনে ইনোভেটিভ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টস ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন শীর্ষক এক
প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্প্রতি সিলেটের হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পৃথিবীর সবথেকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সময়ের সাথে সাথে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ঝুঁকি বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে এ সংক্রান্ত অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে। জলবায়ু অর্থায়নের এই ঘাটতি কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রয়োজন ইনোভেটিভ এবং নতুন ধরনের অর্থায়নের মাধ্যম। বিগত এক দশক যাবৎ জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবনী অর্থায়নের মাধ্যম আবিষ্কৃত হয়েছে যা কিনা একহাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জলবায়ু অর্থায়ন খাতে কর্মরত বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তাদের এ-সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণটিতে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্যায়ে সেশনগুলো পরিচালনা করেন এই আর ডির এস এম মাহবুব আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর সুবর্ণ বড়ুয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের চৌধুরী লিয়াকত আলী, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স এর মোহাম্মদ জালালুল আজিম এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী। এসময় জলবায়ু অর্থায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্ট যেমন গ্রীন বন্ড, ইকুইটি, গ্যারান্টি, ক্লাইমেট রিস্ক ইন্সুরেন্স এবং বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে এদের প্রয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইআরডি সচিব শরিফা খান বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে গ্রাজুয়েট করবে, তাই সরাসরি এ কারণে বিভিন্ন বিকল্প উৎস থেকে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অর্থায়ন সংস্থান আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত দক্ষতা বাড়াতে হবে। জিআইজেড বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল এ্যাডভাইজার ড: ফেরদৌস আরা হোসাইন বলেন, জার্মান সরকার বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথভাবে জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধি সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রশিক্ষিত অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে এবং প্রশিক্ষণটি তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডে সহায়ক হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
Leave a Reply