বিডিএস (ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি) কোর্সের আদ্যোপান্ত – পর্ব ২

প্যাথোলজির জেনারেল প্যাথোলজি, নিওপ্লাসিয়া এবং হেমাটোলজি পড়া লাগে। সিস্টেমিক অংশটুকু বিডিএসের সিলেবাসে নেই। মাইক্রোবায়োলজি সম্পূর্ণই পড়া লাগে।

৩য় পেশাগত পরীক্ষা
:
এই ধাপে ৩ টি সাবজেক্ট রয়েছে।
১)মেডিসিন
২)সার্জারি
)পেরিওডোন্টলজি & ওরাল প্যাথোলজি & ওরাল মেডিসিন।
এই তিনটিই ক্লিনিক্যাল সাবজেক্ট। এসব সাবজেক্টে ব্যবহারিক হিসেবে হাসপাতালে রোগী দেখা লাগে(ওয়ার্ড করা)।তবে মেডিসিন সার্জারি বিডিএসের সিলেবাসে সম্পূর্ণ নেই। দুইটি সাবজেক্টই এমবিবিএসে দুইটি করে পত্র আছে। বিডিএসে দুটিরই প্রথম পত্র সম্পূর্ণ এবং দ্বিতীয় পত্রের কিছু অংশ পড়তে হয়।এর মধ্যে শেষ সাবজেক্টটি দাঁত মুখের বিভিন্ন রোগ নিয়ে(উপসর্গ, নির্ণয় পদ্ধতি,চিকিৎসা) আলোচনা করে।

৪র্থ পেশাগত পরীক্ষা:
এখানে ডেন্টালের পাঁচটি বিশেষায়িত বিষয় রয়েছে। এসব সাবজেক্টেও ওয়ার্ড ক্লাশ করা লাগে।

১)ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফ্যাসিয়াল সার্জারি : মুখের যত রকম টিউমার,ক্যানসার আলসার, সিস্ট রয়েছে সব কিছুর শল্য চিকিৎসা এই সাবজেক্টের অধীন। জন্মগত ত্রুটি(যেমন ঠোট /তালু কাটা) ও এই সাবজেক্টের বিষয়বস্তু।

২)অর্থোডন্টিক্স : আকাঁবাকা দাঁত /চোয়াল সোজা করাই এই সাবজেক্টের কাজ।

৩)পেডিয়াট্রিক্স ডেন্টিস্ট্রি ঃবাচ্চাদের ও মুখের যাবতীয় রোগ ও চিকিৎসা এখানে আলোচিত হয়।

৪)কনসারভেটিভ ডেন্ট্রিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডন্টিক্স : রোগাক্রান্ত দাঁতকে বিভিন্ন উপায়ে রক্ষা করাই এই বিভাগের কাজ।

৫)প্রস্থডন্টিক্স : মুখের স্ট্রাকচার(টিউমার/সিস্ট/ক্যানসার অপারেশনের কারণে কাটা পড়ে) ও হারানো দাঁতের অভাব পূরণই এই সাবজেক্টের বিষয় বস্তু।
এছাড়াও, এই বর্ষে ডেন্টাল পাব্লিক হেলদ নামে আরেকটি সাবজেক্ট আছে।

কেউ সফলভাবে ৪ টি পেশাগত পরীক্ষায় পাস করলে, এরপর ১ বছর মেয়াদী ইন্টার্নশীপ শুরু হয়। হাসপাতালে ডা. হিসেবে সিনিয়র স্যারদের সরসরি তত্ত্বাবধায়নে রোগীর চিকিৎসা করে হাতে কলমে দক্ষতা অর্জন হয়।

যারা প্রথম অংশটুকু পড়েন নি, তারা আমার নামে অথবা এই লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।





About Al Noman Kazi 2 Articles
I'm, Al Noman Kazi, a fourth year Bds student at Sher-E-Bangla medical college, Dental Unit.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*