বন্ধুর সঙ্গে ‘দেখা-দেখি’টা কারও কারও জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল ফেসবুক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের পর্দাতেই। কারও তো আবার-স্কুল জীবনের শেষ দিনে পথটা যে ভাগ হয়ে গিয়েছিল তারপর আর মুখ দেখাদেখিই হয়নি। সেই সমস্ত হারিয়ে যাওয়া পথগুলো ফের পুরোনো মোহনায় ফিরেছিল শুক্রবারে।
ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন এই বিদ্যালয়ের শুরু থেকে ২০২০ পর্যন্ত সকল প্রাক্তন শিক্ষার্র্তীদের জন্য এই মিলন মেলার আয়োজন করে ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার।
বহুদিন পর ফেনীর প্রিয় ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় প্রাক্তন শিক্ষার্র্তীরা এসে তারা যেন ফিরে গিয়েছিলেন সেই ‘সাদা -কালো ইউনিফর্মে’ বন্দি থাকার সোনালী দিনগুলোতে। উপলক্ষ একটাই-বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। তাইতো সুযোগ পেয়েই শত কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শুক্রবার মিলিত হয়েছেন তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে। আজ ছিল তাদের মহা-পুনর্মিলনী।
হারানো দিনের সোনালী স্মৃতির মাঝে আজ তারা বিচরণ করছেন মনের আনন্দে। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসের প্রতিটি আনাচে-কানাচে। মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তাদের সেই প্রিয় ক্যাম্পাসটি।
তারা সবাই যে একটা সময় এই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন, পাশাপাশি বসতেন ক্লাসরুমে।
বহুদিন পর স্কুলে ফেরায় শুক্রবারের ভরদুপুরে তাই স্কুল প্রাঙ্গণের এপাশ-ওপাশে প্রাক্তনদের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছিল অজস্র আবেগি সংলাপ। তার কোনটা এমন-‘বন্ধু কী খবর বল, কতদিন পর দেখা,’ ‘এই মাঠেই তো খেলে বেড়াতাম আমরা, আজ চেনায় যায় না’, ‘এটাই না ছিল আমাদের সেই ক্লাসরুমটা, আজ রং লেগেছে তার দেয়ালে দেয়ালে। ’পুনর্মিলনী উপলক্ষে স্মৃতিচারন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-আয়োজনে বাকি ছিল না কিছুই।
এই বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া বর্তমানে ঢাকায় একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শাহাদাত হোসেন শাকিল বলেন , ‘পুনর্মিলনীতে এসে মনে পড়ে যাচ্ছে স্কুলের শেই দিনগুলোর কথা। খুবই ভালো লাগে এখানে এসে। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়, স্মৃতি খুঁজি। কতোবার এসেছি… তারপরও বার বার আসার অপেক্ষায় থাকি। “অসাধারণ অনুভূতি। পুরনো অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি প্রতি বছরই আসতে চাই। ঘুরে ফিরে এখানেই আসতে হবে আমাদের; প্রিয় মুখগুলো ফিরে পেতে চাই. আনন্দ-আড্ডা দিয়ে আজকের দিনটা কাটানোর পর আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাব, আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকব সবাই”
আলোচনা সভা শেষে বিকেল থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্র্তীরা নাচে গানে মাতিয়ে রাখে সবাইকে। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনা করেন ফুলগাজীর সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠী ও স্টেজ মাতাতে ঢাকা থেকে আসেন শিল্পী আফরিন , শিল্পী মাসুদ কোরাইশী এবং দেশ বরেণ্য শিল্পী আলম আরা মিনু।
Leave a Reply