রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় নারীর প্রতি অবিচার, বশেমুরবিপ্রবি’তে মানববন্ধন

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় জড়িত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সহ পাঁচ আসামিকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। ঘটনাটির পুনরায় তদন্তের দাবি ও নারী বিচারেকের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় একাডেমিক ভবনের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডসহ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকে আমরা দেখছি নারীরা অবহেলিত। আমাদের বিচার ব্যবস্থা নারীদের এমন এক পর্যায়ে দাঁড় করিয়েছে, তারা এই শিকল ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারছে না।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহমান বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে মধ্যযুগীয় বর্বর প্রথার অবসান হোক। নারীরা তাদের অধিকার ফিরে পাক। তিন দিন নয়, তিন বছর পর হলেও ধর্ষণের বিচারগুলো যেন অবহেলিত বা বাধাগ্রস্ত না হয়।

বাংলা বিভাগের সভাপতি জাকিয়া সুলতানা মুক্তা বলেন, আজকে আমরা আদালতে বিচারপতি কামরুন্নাহারের পক্ষ থেকে যে অন্যায়টা দেখলাম, যদিও আইনমন্ত্রী ও সরকার তার বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবুও আমরা মনে করি এটা যথেষ্ট নয়। তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক এবং আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেদের দম্ভ গুঁড়িয়ে দেয়া হোক। আমরা মামলাটি পুনরায় তদন্ত এবং সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা বাতিলসহ নারীর প্রতি সহিংসতার সব ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামো বাতিল চাই।

বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার অ্যান্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের (বিলওয়াবস) শিক্ষক সানজিদা পারভিন বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং প্রহসনমূলক। নারীর প্রতি সহিংসতার বিচার শুধু মুখে, আইনে বা খাতা-কলমে নয়; এটির কার্যক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হোক এবং রেইনট্রি হোটেলের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।”

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে খালাস দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার। এছাড়াও তিনি ৭২ ঘণ্টা পর কোনো ধর্ষণের মামলা পুলিশকে না নিতে বলেন। এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*