বই পড়ার উপকারিতা কি কি জেনে নিন

বই এর কথা বলতে গেলেই জ্ঞানের কথা চলে আসে। জ্ঞানের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে বই হতে পারে সেটা যে
কোন ধরনের বই । মানুষের জীবনের সবচেয়ে প্রকৃত বন্ধু হছে বই যা মানুষকে কখনও ধোকা দেয় না। জিবনের
হাশি-খুশি, সুখ-দূখ, আনন্দ-বেদনা, জিবনের চলার গাইড লাইন শুধুমাত্র বইই দিতে পারে। এর জন্য ধারাবাহিক যে
সকল বই আছে তার মধ্যে ইসলামিক বই, একাডেমিক বই, সাইন্স, মেডিক্যাল, জবের জন্য প্রিপারেশন বই,
উপন্যাস, ছোট গল্প, স্পোকেন সহ আরো দেশি বিদেশি লেখকের গুরুত্ব পূর্ণ বই পাওয়া যায়। আর এই সকল
ধরনের বই কিনতে ও বর্তমান দাম জেনে নিতে পারবেন বিডিস্টল ডট কম থেকে। আজকে আমরা জানবো বই পড়ার
কিছু উপকারিতাঃ-

বই পড়া শুরুতে লক্ষ্য স্থির করতে হবে যে আপনার কোন ধরনের বই পড়া প্রয়োজন? বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা
নির্ভর করবে সময়ের ও বয়সের উপরে।

জ্ঞান অর্জন

বই পড়লে জ্ঞান বাড়বেই। যে ব্যক্তি যত বেশি বই পড়ে তার জ্ঞানও তত বেশি বৃদ্ধি পায়। শিক্ষা ছাড়া পৃথিবী
অচল কেবল মাত্র শিক্ষাই পারে অন্ধকার পৃথিবীকে আলোকিত করে তুলতে। আর এই শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন
করতে হলে বই এর বিকল্প কোন কিছু নেই। বই পড়ার অন্য আরেকটি বড় উপকারিতা হচ্ছে নতুন কিছু জানতে
পারা বা জ্ঞান অর্জন করা। বর্তমান, অতীত,ইতিহাস সকল কিছুই বইয়ের ভিতরে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।

শারীরিক ও মানসিক উন্নতিতে বই এর গুরুত্ব

বই হচ্ছে মানুষের মনের তথা আত্মার খোরাক। বই পরলে মানুষের জিবনে শাররীক ও মানসিক উন্নতি ঘটায়। যুগ
যুগ ধরে বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে যে বইয়ের যতই গল্প রহস্যের গভিরে প্রবেশ করে ততই মানুষের ব্রেন এর
কোষগুলো উদ্দীপনা তে ভরপুর হয়ে উঠে। এতে করে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ব্রেইন ও সার্ফ থাকে। যখন
মানুষ মানসিক দিক থেকে ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তায় ভোগে তখন এর জন্য সহজ সমাধান হচ্ছে বই পড়া। বই পড়লে
তাৎক্ষনিক ভাবেই ডিপ্রেশন বা দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা যায়। নেগেটিভ কথা, নেগেটিভ চিন্তা, হিংসা,
প্রতিশোধের স্পৃহা তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে না বিধায় হতাশা দূর হয়ে যায়।

স্মৃতি শক্তি বা কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি

যখন আমরা কোন বই পড়া শুরু করি তখন আমাদের মনের মধ্যে বইয়ের ভিতরে লিখা থাকা কাহিনীর এক প্রতিছবি
ভেসে উঠে চোখের সামনে। এতে করে বিষয় টি মনের ভিতরে গেথে যায় এবং চোখে চোখে ভেসে উঠবে মনে হবে যে
বাস্তব জিবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা চকের সামনে খেলা করছে। বই পড়লে যে স্মৃতি শক্তি বাড়ে তা এক গবেষণায়
প্রমানিত হয়েছে যে যখন আমরা ৪০০ কিংবা ৫০০ পাতার একটি বই পড়তে শুরু করি তখন শুরু দিকে যাকে
উদ্দেশ্য করে লিখা হয়েছে তার জীবনির কিছু অংশ লিখা থাকে যাতে ঐ ব্যাক্তির সম্পর্কে আমাদের আকর্ষণ
কিছুটা বৃদ্ধি করে। যা পরবর্তিতে ধীরে ধীরে যত শেষের দিকের কিছু পাতায় বলা থাকে তাঁর আবিষ্কৃত ফর্মুলা
এবং তাঁর দেওয়া কিছু অমুল্য জীবন বাণী। বইয়ের শুরু পৃষ্ঠা থেকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত যে চেইন দেওয়া থাকে তা
স্মৃতিতে ধরে রাখার জন্য যথেষ্ঠ উপকারি।

লিখা ও সৃজনশীলতার ক্ষমতা বাড়ায়

বই পড়লে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে শিখতে পারে যা লিখার জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। লিখার জন্য
জানতে হবে বুঝতে হবে আপনি কোন বিষয়ে লিখতে যাচ্ছেন বা কি প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। যিদি আপনার উক্ত বিষয়ের উপরে ধারণা থাকে তাহলে এর সাথে আরো নতুন কিছু নিজের থেকে সৃষ্টি করে গুছিয়ে লিখা যায়।

ঘুমে সাহায্য করে

ঘুমের জন্য সবচেয়ে বড় মেডিসিন হচ্ছে বই পড়া। যাদের কিছুতেই ঘুম আসে না তার জন্য ঘুমের ওষুধ না খেয়ে
কিছুক্ষন বই পড়ুতে থাকলে কখন যে ঘুমিয়ে পরবে। বই পড়া হল ঘুমের সবচে বড় ওষুধ। বই পড়লে মানসিক,
শারীরিক উন্নতি হয়, হতাশা দূরে সরে যায়, স্ট্রেস কমে যায়। হতাশা আর স্ট্রেস যদি জীবন থেকে সরে যায়,
স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের গড় আয়ু তো বাড়বেই।

এছাড়াও বই পড়ার আরো অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে ।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1526 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*