মহামারীর অবনতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি ‘অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে নানা সংগঠনের কর্মসূচি পালনের প্রেক্ষাপটে বুধবার সংসদে বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এনিয়ে কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা ছাঁটাই প্রস্তাবেরও পর তাদের বক্তব্য দেন। এসময় কোনো কোনো সংসদ সদস্য স্কুল খুলে দেওয়ার দাবি করেন। আবার কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “বিজ্ঞানকে অস্বীকার করে বৈশ্বিক সংকট করোনা অতিমারীর মধ্যে চলতে পারি না। বিজ্ঞান বলছে শতকরা ৫ শতাংশ বা তার কমে সংক্রমণের হার না নামা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, বিজ্ঞানসম্মত নয়।
“এখন সংক্রমণের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। কোনো কোনো জেলায় সংক্রমণ ৫০ শতাংশ বা তারও ঊর্ধ্বে। এই সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবি আদৌ যৌক্তিক কি না, তা ভেবে দেখার দরকার আছে। কারণ এই সংসদ জাতির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সরকার কয়েক দফা পরিকল্পনা করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়ছে।
দীপু মনি বলেন, “বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছিল। খোলার পরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
“উন্নত দেশগুলো, যেখানে শ্রেণি সাইজ ২০/২৫ জনের বেশি নয়। আমাদের এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গায়ে গায়ে লেগে বসে থাকে। সেখানে খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে নানা কর্মসূচি দেখা গেলেও দীপু মনি বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে ভিন্ন বার্তা পাচ্ছেন তিনি।
“বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের সাথে আমার কথা হয়। তাদের কেউ কেউ খুলে দেওয়ার কথা বললেও এ সময় খোলা হলে তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে এক বাক্যে জবাব দেন। তারা বলেন, সন্তানদের মেরে ফেলার জন্য পাঠাতে পারি না।”
Leave a Reply