আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ ২১ মে ২১ইং, শুক্রবার, দুপুর ২ টায় সংগঠনের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফীর সভাপতিত্বে নির্বাহী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হকের সঞ্চালনায় ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের ৫ দফা দাবিতে জাতিসংঘে ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ স্থায়ী সদস্য দেশের দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদানে বক্তারা বলেন- জাতিসংঘের নির্লিপ্ততা ইসরাইলকে বেপরোয়া করে তুলেছে। মার্কিনীদের দ্বি-মূখী নীতি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর যেভাবে ইসরাইলী বর্বর হামলা ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি শিশু-নারীসহ সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে তা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।
ব্রিটিশ বেনিয়া শাসকরা ৭০ বছর আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করার জন্য অনুপ্রবেশকারী দখলদার ইহুদীরা ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে যা বিশ্বসভ্যতার জন্য আজ বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। অসভ্য, বর্বর এবং চক্রান্তকারী ইহুদীরা গত ১১ দিনে ২৩২ জনকে অমানবিক এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে যা বিশ্ববিবেক নিশ্চুপ প্রত্যক্ষ করেছে মাত্র। সুতরাং ইসরায়েলকে জাতিসংঘের মাধ্যমে শাস্তির মুখোমুখি করে ফিলিস্তিনে শান্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
আহলে সুন্নাতের পেশকৃত স্মারকলিপিতে উল্লখযোগ্য পাঁচ দফা দাবি হলো-ফিলিস্তিনের হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা, আন্তর্জাতিক আদালতে মানবধিকার লঙ্গন ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরাঈলের বিচার করা, জাতিসংঘে ইসরাঈলের সদস্যপদ স্থগিত করা, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান এবং রাজধানী জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদের উপর মুসলমানদের পূর্ণনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সকল দেশে মুসলমানদের উপর হামলা নিপীড়ন এবং হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা, পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কার্যকর সিদ্ধান্ত ভূমিকা নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বক্তারা আরও বলেন-বিশ্ব সম্প্রদায়ের আবেগ ও অনুভুতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জভাবে ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন ও অস্ত্র দিয়ে প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের নির্লিপ্ততা ইসরাইলকে বেপরোয়া করে তুলছে। ইসরাইল ফিলিস্তিনে যে মানবতা বিরোধী যে অপরাধ সংঘঠিত করছে-এর দায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকেও নিতে হবে। বক্তারা জাতিসংঘকে ‘টুটোজগন্নাথ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটিকে জাতিসংঘ না বলে মুসলিম নিধনসংঘ বললে অত্যূক্তি হবে না।
গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন- আহলে সুন্নাতের মহাসচিব পীর সৈয়দ মুসিহুদ্দৌলা, কো চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আলকাদেরী, স্টান্ডিং কমিটির সদস্য এম এ মতিন, স উ ম আবদুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, কাজী মুহাম্মদ মোবারক হোসেন ফরায়েজী, ড. মাওলানা হাফেজ হাফিজুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাদেরী, আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইকবাল, এডভোকেট. এম এ আউয়াল অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হোসেন, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, এডভোকেট মাহবুবুল আলম আশরাফী, মাও. ছোলায়মান খান রাব্বানী, ম ম জিলানী, কাজী জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী আশরাফী, সৈয়দ মুহসিন ভান্ডারী, মুফতি এহসানুল হক বারী জিহাদী, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আল আজহারী, মাওলানা ইদ্রিস আনছারী, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা, আরিফুল ইসলাম, শাইখ সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আজহারী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন কাদেরী, শাইখ আবদুল রাহীম আল আজহারী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাহ আলম, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুহাম্মদ আবুল হাশেম, গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা জহিরুল ইসলাম ফরিদী, হারুনুর রশিদ সিদ্দিকী, হাজী মুহাম্মদ রুবেল, রেফাজ উদ্দীন, আবুল হোসেন, মাওলানা ফরহাদুল ইসলাম বুলবুলি, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সিদ্দীকুর রহমানের সরকার, আনিসুর রহমান আনিস, শিহাবুদ্দীন নুরী, ড. অধ্যক্ষ এস এম সরওরার, মোহাম্মদ মাসউদ হোসাইন, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, শাহাবুদ্দীন মীর, মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, শাফায়াত উল্লাহ, মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুকসহ অসংখ্য দরবার, সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, গণজমায়েত শেষে পদযাত্রা আরম্ভ করলে নাইটিংগেল মোড়ে পুলিশের বাঁধা ও অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্সসহ ৫ টি দেশের দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
Leave a Reply