অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে পদত্যাগ করলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুর রউফ।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের কারণে তিনি প্রকল্প পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এবিষয়ে মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রকল্প পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদক ও সরকার অবগত। শাস্তিমূলত ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না; সেটি তারা নির্ধারণ করবেন বলেও জানান উপাচার্য।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া প্রকল্প পরিচালক থাকা অবস্থায় তিনি বিধি-বহির্ভূতভাবে খুলনা শিপইয়ার্ডকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং আসবাবপত্র বাবদ সর্বমোট ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৯ টাকা অগ্রিম প্রদান করেন। যে সকল পণ্যের একটি বড় অংশের চাহিদা না থাকায় বর্তমানে অব্যবহৃত থেকে তা নষ্ট হচ্ছে।
এ ছাড়া, প্রকল্প পরিচালক থাকা অবস্থায় আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া প্রকল্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলে প্রায় দেড় কোটি টাকা নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে কয়েক মাস পর সেই টাকা আবার আগের অ্যাকাউন্টে ফেরতও দেন তিনি।
এদিকে সমালোচিত সাবেক ভিসি খোন্দকার নাসির উদ্দিনের আস্থাভাজন হওয়ায় প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। নিয়েছেন আর্থিক সুবিধাও। তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর সংবাদ প্রকাশ হয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে।
Leave a Reply