খুলনা ৬ আসনের কয়রায় উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ৩ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো মুখে কালো ব্যাচ ধারণ ও মৌন মিছিল করেছে কয়রা কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এ সময় নির্মম ভাবে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক সুভাষ দত্তের ওপর হামলাকারীদের এখনো পর্যন্ত দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ, কোর্ট চত্বর ও উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল শেষে সদরের তিন রাস্তা মোড়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করে সাংবাদিকরা।
সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন নগ্ন হামলা কখনই মেনে নেয়া যায় না। সাংবাদিকদের ওপর এই বর্বরোচিত হামলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সহ হামলার পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
কয়রায় কর্মরত সাংবাদিকরা আরো বলেন, কয়রা তিন সাংবাদিকের ওপর হামলা ও দৈনিক সমাজের কথা পত্রিকার কয়রা প্রতিনিধি সুভাষ দত্তের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়, এর প্রতিবাদের কোনো ভাষা নেই। এটা মোটেই কাম্য নয়। এই নৃশংস ঘটনার একটা বিহীত হওয়া দরকার। হামলার প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি শেষে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া ঘোষনা দেন ওই সাংবাদিকরা।
কয়রা উপজেলা সিনিয়র সাংবাদিক এসএম হারুন-অর-রশিদ রশিদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক প্রবাহ প্রতিনিধি রিয়াছাদ আলী, দৈনিক ভোরের কাগজ শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন, দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মনু, দৈনিক দৃষ্টিপাত প্রতিনিধি শাহবাজ আলী, দৈনিক ভোরের পাতা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান ঝন্টু, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, কিউ টিভি প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, পল্লী টিভি প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ অঞ্চল প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির টুলু, দৈনিক সংযোগ বাংলাদেশ প্রতিনিধি আক্তারুল ইসলাম, দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধি ওবায়দুল কবির সম্রাট, দৈনিক নওয়াপাড়া প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম, দৈনিক পত্রদূত প্রতিনিধি নিতিশ সানা, জে নিউজ প্রতিনিধি তরিকুল ইসলাম, জনতার মিছিল প্রতিনিধি প্রীতিশ কুমার মন্ডল, সকলের বার্তা প্রতিনিধি আবু হানিফ, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক ভোরের কাগজ সহ কয়েকটি পত্রিকায় নদী ভাঙ্গন কবলিত মদিনাবাদ লঞ্চঘাট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের একটি সংবাদ প্রকাশ করায়, গত ৩ ডিসেম্বর রাত ৯ টায় উপজেলা সদরে বাস স্ট্যান্ডে প্রায় এক ডজন মামলার আসামী চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর বাহিনী ১৫/২০ জন তিন সাংবাদিকের ওপর হামলার এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
Leave a Reply