১ নভেম্বর থেকে মাধ্যমিকের শিখন ফল মূল্যায়ন

মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে শিখনফলের মূল্যায়ন শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। কীভাবে শিখনফল মূল্যায়ন করতে হবে, সে বিষয়ে সাতটি নির্দেশনা দিয়ে রোববার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। এ বছর বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকার এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেলিভিশনে পাঠদান প্রচার ও শিক্ষকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। এ রকম নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কতটুকু শিখল, তার মূল্যায়ন করতেই এসব নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যেন তাদের পাঠ অগ্রগতি বা দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে সেভাবেই এ মূল্যায়ন পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। এ মূল্যায়ন যেন শিক্ষার্থীদের ওপর কোনোভাবে মানসিক বা শারীরিক চাপ সৃষ্টি না করে।

এনসিটিবি মাধ্যমিক পর্যায়ের জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করার মতো একটি সিলেবাস তৈরি করছে, যা মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ওই সিলেবাসের ভিত্তিতে এনসিটিবি অ্যাসাইনমেন্টের জন্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। প্রতি সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেই অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা শ্রেণিভিত্তিক সময়সূচি নির্ধারণ করে আলাদাভাবে সেসব অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের দেওয়া ও নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। চাইলে অনলাইনের সাহায্যে অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া-নেওয়ার কাজটি করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, আপাতত এ অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া পরীক্ষা বা বাড়ির কাজের মতো অন্য কোনো উপায়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা যাবে না। শিক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করবেন এবং পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলোর ওপর বিশেষ নজর দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিখনফল অর্জনের যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।

প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা শিক্ষকদের মূল্যায়নসহ অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন। কভিড পরিস্থিতির কারণে যেসব শিক্ষার্থী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছে, তারা নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ/জমা দিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে অভিভাবক/শিক্ষার্থী তার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। মাউশির সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের কাজে সমন্বয় করবেন।





About মোঃ মিলন ইসলাম 1011 Articles
মোঃ মিলন ইসলাম , বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট "লেখাপড়া বিডি"র "চিফ ইডিটর" হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া, লেখাপড়া বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন আল মামুন মুন্না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*