সারাবিশ্ব যখন করোনার আতংকে আতংকিত তখন বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুল কলেজে দেওয়া হচ্ছে বেতন দেওয়ার চাপ। মার্চ ২০২০ এর মাঝের সময় থেকেই পুরো পৃথিবীতে করোনার আতংকে বন্ধ স্কুল,কলেজ,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং আফিসসমূহ। শিক্ষার্থীদের বাবা মা যেখানে পারছেন না খাবার কেনার টাকা জোগাড় করতে সেখানে স্কুল এবং কলেজ গুলো থেকে দিচ্ছে হাজার হাজার টাকার চাপ।“যেখানে স্কুল কলেজ বন্ধ সেখানে এত হাজার হাজার টাকা দেওয়া লাগবে কেনো?” শিক্ষার্থীদের বাবা মার প্রশ্ন।
তবে এখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলা যায় না!
চলুন আপনাদের আমি সহজ ভাষায় বুঝাই।
ধরা যাক করোনার এই আতংকের সময় হয়ে গেছে দুই ধরণ এর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা।
১.যারা প্রতি মাসে চাপ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের বাবা মা কে।প্রায়ই ২/১ হাজার টাকা নিচ্ছেন প্রতি মাসে! যা দিয়ে এই মহামারীতে ৪/৩ জনের এক ছোট্ট পরিবারের ১ মাসের খাবার কেনা যেত(যেহেতু খাদ্যের দাম মহামারীতে কমেছে)! আবার অনেক স্কুল বাড়তি খরচও নিচ্ছে রেজিষ্ট্রেশনের নামে! যেখানে বোর্ড থেকে বলে দেওয়া হয়েছে এস.এস.সি রেজিষ্ট্রেশন ফি ১৫৫/১৭৫ টাকা সেখানে তারা নিচ্ছে ৯০০/১০০০ টাকা।মানে ২০০০ টাকা মাসিক বেতন তার সাথে আবার রেজিষ্ট্রেশন ফি ৯০০।কি বুঝলেন? মাসে ২৯০০ টাকা দিতে হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মা বাবাকে!
২.এমন মহামারীতে যেমন ১ নং পয়েন্ট এর মতো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ঠিক তার উল্টো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আছে! দুনিয়ায় এখনও ভালো মানুষরা বেচে আছে! অনেক প্রতিষ্ঠানেই নিচ্ছে না পুরো বেতন। মহামারীতে তারা মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য নিচ্ছেন অরধেক বেতন আবার কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানতো নিচ্ছেই না।
আমি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে না!
না!মাসিক বেতন নিচ্ছে আমি এর বিপক্ষও না!কারণ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতনটা দেয় সরকার! আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন দিয়েই দেওয়া হয় শিক্ষকদের বেতন!আমরা যদি মাসিক বেতন না দি তবে শিক্ষকরা পাবেন না বেতন আর শিক্ষকরাও মানুষ তাদেরও ঘর সংসার চালাতে হয়।
তবে আমার কথা হচ্ছে প্রয়োজন মতো নিক টাকা প্রয়োজনের বেশি নয়!
কিছুটা না হয় তারা কম্প্রোমাইজ করুক আর কিছুটা না হয় আমর।একসাথে চললেইতো হবে সোনার বাংলা!❤
-আয়েশা রায়মান
Leave a Reply