যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন লোন অফিস পাড়ায় বসবাস করেন নাসিমা আক্তার, দুই ছেলে-মেয়ে ও প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলছে তার সংসার ।
আর্থিকভাবে একটু সচ্ছ্বল ও সাবলম্বী হওয়ার আশায় এবং পরিবেশ দূষণের কথা চিন্তা করে অন্তর্নিহিত সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে প্লাস্টিকের পরিবর্তে তৈরি করেছেন কাগজ দ্বারা তৈরি পরিবেশবান্ধব বলপেন। সাংসারিক কাজের ফাঁকে তিনি তৈরি করেন এই পরিবেশবান্ধব কলম! তিনি এতে ব্যবহার করেন রঙিন কাগজ, আঠা, শিষ! এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার ছেলে।
নাসিমা আক্তার শুনেছেন যশোরের বর্তমান পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম মহোদয় অত্যন্ত মানবিক একজন পুলিশ অফিসার। লকডাউনের সময় থেকে অসহায়দের নগদ অর্থ ও প্রচুর খাদ্য সামগ্রী প্রদান করে আসছেন তিনি।
নাসিমা আক্তারও সেই আশায় পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে তাঁর কার্যালয়ে আসেন! নাসিমা আক্তার পুলিশ সুপার মহোদয় কে বলেন, তার এই পরিবেশ বান্ধব কলমটি যদি যথাযথ প্রচার এবং বিক্রয় এর ব্যবস্থা করে দিতেন তবে সে নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হত এবং পরিবেশ দূষণ ও কিছুটা কমে যেত।
পুলিশ সুপার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে বিবেচনা করেন এবং পরিবেশ বান্ধব এই কলমটি যে কতটা যুগোপযোগী সেটা অনুধাবন করেন।
পুলিশ সুপার মহোদয় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, নাসিমা আক্তার একটি কাগজের তৈরি কলম আবিষ্কার করেছেন যেটা সম্পুর্ণ পরিবেশবান্ধব, তারচেয়েও বড় কথা হলো আজ-কাল অভাবের তাড়নায় অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে নানা প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপে কিন্তু নাসিমা আক্তার সেটি না করে জীবিকার তাগিদে পরিবেশের কথা চিন্তা করে তৈরি করেছেন সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব কাগজের তৈরি কলম।
তার এই আবিষ্কাটি সত্যিই অত্যন্ত যুগোপযোগী এবং পরিবেশবান্ধব আবিষ্কার, যেটা অবিস্মরণীয় এবং অভাবনীয় তার এই আবিষ্কারকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং সর্বোপরি সহায়তার জন্য জেলা পুলিশ যশোর তার পাশে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এই প্রচার এর কারণ হলো সমাজে যারা অভাবের তাড়নায় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছেন তারা যেন এটি দেখে অনুপ্রেরণা পান।সেজন্য নাসিমা আক্তারের এই আবিষ্কার টি প্রচার হওয়া দরকার। এ সময় পুলিশ সুপার মহোদয় নাসিমা আক্তার এর কাছ থেকে বেশকিছু কলম ক্রয় করেন এবং সেগুলো উপস্থিত সাংবাদিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝে বিতরণ করেন।
লেখাপড়াবিডি/
Leave a Reply