এবার ঈদ-উল-আজহাকে সুন্দরভাবে পালনে সহায়তা করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বেশ কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। নিয়েছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলামও। এদিকে ঈদ-উল-আজহা যাতে সুন্দর এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় সেজন্য সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সঙ্গে আগে থেকেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের মানুষের মঙ্গল করার উদ্দেশ্যে তার এ নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। তবে যাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায়, যেখানে গানের কলির মতো দম ফুরালেই ঠুস! তারপরেও অমিত লোভ-লালসার সীমা-পরিসীমা নেই। এদিকে বোনাস দেয়নি ৭৯ শতাংশ শিল্প -কলকারখানা। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। কোরবানি যাতে ঢাকার বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়িতে না হয় সেদিকে বিএনপি-জামায়াতীরা সরকারের বিরুদ্ধে এক ধরনের চক্রান্ত করছে। তাদের দেখানো ভয়ে কিছু ব্যক্তিও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। সরকারী দলের নেতা হয়ে কিভাবে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে এটি মোটেও অনুধাবনযোগ্য নয়। বিএনপি-জামায়াতের আমলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক যারা ছিলেন তারা যে সীমাহীন দুর্নীতি করেছে, বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছে, দীর্ঘকাল ফ্ল্যাট ওনার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে প্রচুর অর্থ ও সম্পদের মালিক হয়ে স্বাস্থ্য খাতের বারোটা বাজিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি পরবর্তীদের স্বাস্থ্য অর্থনীতির কলাকৌশল নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নে কন্ট্রাক্টর, অফিসের বিভিন্ন কর্মরতদের মধ্যে এবং সহযোগী হিসেবে ভেন্ডারদের মধ্যে এক ধরনের মাফিয়া নেক্সাস গড়ে ওঠে। কি বিচিত্র দেশ সেলুকাসÑ ইউনাইটেড হাসপাতালে মানুষ আগুনে পুড়ে নিহত হওয়ার পরও বহালতবিয়তে জামায়াত-বিএনপিপন্থী মালিকগোষ্ঠী ভাল আছে। সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে করোনাভাইরাসে যেভাবে রোগী এবং নন-কোভিড রোগীদের প্রতারণা করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আবার সাবরিনা-আরিফুল-সাহেদদের কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে, যা সরকারের ক্রেডিবিলিটি জনগণের কাছে কমিয়েছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে কোভিডে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও কাজ করে চলেছেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রিত্বকালীন সময়ে স্বাস্থ্য অর্থনীতির উন্নয়ন করতে গেলেও মাফিয়া নেক্সাস তাকে বাধা দিয়েছিল বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। প্রফেসর ডাঃ আ. এফ. এম রুহুল হক এমপি তার আমলে কিছুতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে রাহুগ্রাসমুক্ত করতে পারেননি বলে সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, যা তার ঔদার্যের পরিচায়ক। জাল-জালিয়াতিতে বিএনপি আমলের স্বাস্থ্য অধিদফতর বিশেষত ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমরের চাচাত ভাই ডাঃ শাহাদাৎ হোসেন এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যা থেকে উত্তরণ অসাধ্য ছিল। ডাঃ শাহাদাতের স্ত্রী ডাঃ মালিহা রশীদ বর্তমানে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। সহজ-সরল স্বীকারোক্তির দরুন সূত্র খুঁজে বের করা দরকার। চরম অবহেলায় বহুবন্ধু মৃত্যু পরবর্তী একুশ বছর দেশের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ও খাতকে ভঙ্গুর করেছে। এখানে যে ধরনের সার্জিক্যাল অপারেশনের দরকার ছিল তা আসলে কেবল রাষ্ট্রযন্ত্রের একার দায়িত্ব নয়। এখানে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব নিয়ে সচেতন হতে হবে। নৈতিকতা, মূল্যবোধ নিয়ে যারা কাজ করেন তারা অন্যের ঘাড়ে মিথ্যা দোষ চাপান। এমনকি বিতর্কিত স্বাস্থ্যের লোকদের এমনভাবে পদায়ন করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে যাতে করে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও তোষণনীতি পঁচাত্তর পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে দেশে থেকে বিদেশে মেডিক্যাল ট্যুরিজমের ওপর কাজ করে আসছি। এখন নিউ নর্মাল সিচুয়েশন হতে যাচ্ছে। কোভিডের সময়ে দেখা গেল, একদল স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে, আরেক দল কাজ করছে না। রোগীরাও সততার পরিচয় দিচ্ছে না। তারা কোভিড হলে ভয়ে ডাক্তারের কাছে লুকাচ্ছে। একটি হিসাবে দেখা গেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা পাস করার পর কেবল ঢাকা এবং পসার করা যাবে এমন স্থানে পোস্টিং চান। তারা কোনমতেই গ্রামীণ অঞ্চলে থাকতে চান না। এমনকি চাকরি পেলেও ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন নার্সিং হোমে নামমাত্র মূল্যে কাজ করেন। তারা অতি সহজেই দুর্বৃত্ত বিনিয়োগকারীদের হাতে শোষিত হতে দেন নিজেদের। সরকারকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয় দুর্নীতিকারীদের দলমত নির্বিশেষে ধরার জন্য। সরকারী প্রতিষ্ঠানের করোনা সনদ ভুলের কারণে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খানকে যে নাজেহাল হতে হয়েছে সেক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কি উপায় হবে? প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সৎ, বিচক্ষণ এবং কর্মঠ। তিনি অবিরত চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেশের উন্নয়নে। কোভিড এবং বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। তবে যাদের তদারকির ভার দেয়া হয় তারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন না। তাই দেখা যায় প্রায় ছয় বছর আগে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র জালিয়াতি হয়েছে, যা এখন বেরুচ্ছে সিআইডির তদন্তে।
নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে সময় লাগে। তবে সরকারপ্রধান আন্তরিক বলেই এই তদন্ত কাজটি সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। দেশে এখন আমাদের অধিকাংশের রক্তের মধ্যে জাল-জুয়োচুরি ধরা পড়ছে। যখন মানুষ মরছে দলমত নির্বিশেষে এক ধরনের অন্যায় কর্মকা-ে কেউ কেউ লিপ্ত হচ্ছে। কি পরিমাণ লোভ-লালসা যে, নিষিদ্ধ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছে, দ-িতও হচ্ছে। লাজ ফার্মা থেকে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ আমরা সরল বিশ্বাসে নিতাম। কিন্তু ২৯ লাখ টাকা তাদের জরিমানা করার পর এটি যেভাবে স্বল্পসংখ্যক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সেটি উদ্বেগের। হাসপাতাল, নার্সিং হোমের ব্যবস্থাপনা, প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এতই খারাপ যে, মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমনকি মারা যাওয়ার পর জিম্মি করে টাকা আদায় করে হাসপাতাল থেকে লাশ দেয়া হচ্ছে। প্রশ্ন জাগে ওই হাসপাতালের মালিকের প্রতি, তিনি কি মরবেন না? তাকে যদি মৃত্যুর পর তার হাসপাতাল লাশ নিউ নর্মাল সিচুয়েশনে না দেয় তবে কেমন হবে? কারণ আমরা বিশ্বাস করি আল্লাহর মাইর বড় মাইর। সম্প্রতি দেশ রূপান্তর পত্রিকার রিপোর্টে দেখা যায় ৫ লাখ টাকা বিল নিয়ে বিবস্ত্র লাশ আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হস্তান্তর করেছে। এতে দেখা যায় মোহাম্মদ মোখলেস উদ্দিনের ৮ দিনের ওষুধ খরচ সোয়া দুই লাখ টাকা, ওষুধের দামেও ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ, অক্সিজেন ফি ৯০ হাজার ৫০০ টাকা, বেড ভাড়া ৮০ হাজার টাকা, চিকিৎসক খরচ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা, ইনভেস্টিগেশন বিল ৬৪ হাজার ৩৮৫ টাকা, কার্ডিয়াক মনিটর ভাড়া ২৭ হাজার ১৫০ টাকা, ক্যাটেরিজেশন বিল ৩ হাজার টাকা, ড্রেসিং খরচ ২ হাজার টাকা, খাবার খরচ ৬ হাজার ৮০০ টাকা, নার্সিং খরচ ৬ হাজার ৮০০ টাকা, করোনা প্রটেকশন চার্জ ৫০ হাজার ৪৩৫ টাকা, এক্স-রে খরচ ১৩ হাজার ১৮০ টাকা। পাশাপাশি দামী ওষুধ স্বজনরা হাসপাতালের বাইরে থেকে কিনেছেন। আসলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেভাবে লাশ হস্তান্তর করেছে তাতে আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মালিককে অবশ্যই কঠোর শাস্তির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বেসরকারী হাসপাতালের নামে রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নকল মাস্ক সরবরাহকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটা প্রশংসনীয়। ইতোপূর্বে জাপান-বাংলাদেশ হাসপাতালের বিরুদ্ধে মৃত ছেলেকে ভেন্টিলেটর রেখে বিল আদায়ের বিষয় পত্রিকায় এলেও বিএনপি-জামায়াতী মালিক বেঁচে গেছে। করোনাকালে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতীরা এক ধরনের গুজব রটাচ্ছে কোরবানি না দিয়ে সরকারকে অজনপ্রিয় করতে। অন্যদিকে দুই নৌকায় পা দেয়া কিছু নেতা-নেত্রী এদের সঙ্গে আছেন কিনা এটা গোয়েন্দা সংস্থা খুঁজে বের করতে পারে। যত বড় নেতা-নেত্রীই হোন তাকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালন করতে হবে।
এ ঈদের সময় বানভাসি এক কোটি লোকের দুঃখ-কষ্টের কথা যেন না ভুলি। প্রধানমন্ত্রী প্রতি ইঞ্চি জায়গায় গাছ লাগাতে আহ্বান জানালেও ফ্ল্যাট ওনার্স সমিতি তার সুযোগ দিচ্ছে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। দেখা যায় রাজউক এক ধরনের প্ল্যান পাস করেছে, আর তারা ইচ্ছামতো নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে সমিতির নামে একের পর এক অন্যায় করে চলেছে। এর একটা বিহিত হওয়া উচিত। ফ্ল্যাট ওনার্স সমিতি নব্য জমিদারবাদী নীতি সৃষ্টি করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্প্রতি যেভাবে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী পরিচালক পদে মনোনয়ন দেয়া হলো তাতে এটি পরিষ্কার যে, বর্তমান পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রধান আগেরজনের পদাঙ্কই অনুসরণ করবেন। ব্যাংকিং খাতে ঋণ পাচারের চক্রটিও থেমে নেই। এটি জনতা ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদাহরণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্ণধার নিশ্চল-নিশ্চুপ। ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটে গরু কেনার জন্য বুকিং দিলাম, যার কোড : XW ৫৯৫৫।
একই অবস্থা ZT2554।
দুর্ভাগ্য যে, বুকিংমানি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া নেবে না। আমি সোমবার ৮:২৫ মিনিটে বুকিং দেয়ার পর দু’বার কথা বলি। তারা বলে নয়টায় বন্ধ হয়ে যাবে, সকাল নয়টায় করুন। মঙ্গলবার সকাল নয়টা দশে করলে দেখাচ্ছে বুক। অথচ ওই গরুটি নাকি বিক্রি হয়ে গেছে! এ কেমন ডিজিটাল সার্ভিস! তারা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এজন্য প্রয়োজন যারা ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড নির্বাচনহীনতার কারণে ব্যবহার করবেন না তারা আর টিজিএসের আওতায় ব্যাংক ট্রান্সফার করতে পারবেন। আসলে ডিএনসিসির যে ডিজিটাল হাট এটি হচ্ছে লোক দেখানো। বিকাশ এবং ব্যাংক ট্রান্সফার একান্ট এবং নাগদ সহ ওয়েবসাইটটিতে পেমেন্ট প্রদানের জন্য ইসিএবির সমস্ত অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া উচিত।
এখন জবাই করা মাংস যথাযথভাবে গ্রাহকের কাছে বিতরণ এবং প্রেরণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
যারা অনভিজ্ঞ বা অর্পিত কোয়ার্টারে আছেন তারা এখানে কাজ করছেন । মাদালের মতো একটি বেসরকারী সংস্থা 10 শতাংশ সার্ভিস চার্জ, জবাইয়ের ফি 20 শতাংশ এবং পরিবহন হার 2000 টাকা ধার্য করে ।
আসলে একটি সিন্ডিকেট উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীর পক্ষে কাজ করছে ।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে সময়ের অপচয়, মোবাইল চার্জ বেড়েছে। আমি মনে করি এরাও ্এক ধরনের প্রতারণা করছে জবাবদিহি না থাকায়, তদারকি ব্যবস্থা না থাকায়। কোরবানির গরু নিয়ে অথ.কম, প্রিয় শপ.কম এবং দরাজ যা করছে তা ন্যক্কারজনক। ফুড ফর ন্যাশনে যোগাযোগ করলেও জবাব পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যগত কারণে বাজারে যেতে চাচ্ছিলাম না। ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের কাছে সাধারণ মানুষের হয়ে আবেদন থাকবে, অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ঈদ এবং তৎপরবর্তী দু’দিন যেন পশু ক্রয়-বিক্রয় হয়। যে সমস্ত ফ্ল্যাটের মালিক ঈদের সময় ফ্ল্যাটে গরু ঢুকতে দেবে না তারা যেন অবশ্যই বাসার সামনে পশু বানিয়ে ওইদিনই পরিষ্কার করার সুযোগ সার্ভিস চার্জ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দেয়ার মাধ্যমে পায়। ডিজিটাল কোরবানি তখনই সফল হবে যখন আমরা প্রত্যেকে সৎ হবো। ইতোমধ্যে আমি ভোক্তা অধিকারে একটি অনলাইন কোম্পানির বিরুদ্ধে জুয়া খেলার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ করে অদ্যাবধি ফল লাভ করিনি। আমি ওই কোম্পানির অনুরোধটি ইমেইলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে রেফার করলাম। তিনি প্রাপ্তি স্বীকারও করেননি। এভাবে পেনডেমিকের সময় তারা জুয়া খেলার আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানুষকে।
সব সরকারী সংস্থাই যে সৎভাবে কাজ করছে তা নয়। দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বিশ্বাস করি টিএ্যান্ডটির টেলিফোন বিল নিয়মিত দেয়া প্রয়োজন। আমার টেলিফোন নম্বর হচ্ছে : ৯৬৬৯৯৬৭। দুর্ভাগ্য যে, এখন পর্যন্ত বহু যোগাযোগ করেও টেলিফোন বিল পাচ্ছি না। ফেব্রুয়ারি মাসের পর থেকে ল্যান্ড লাইনে টেলিফোন বিল পেলে সরকারেরই লাভ। বারংবার যোগাযোগ করে যখন ব্যর্থ হয়েছি, টিএ্যান্ডটি কর্তৃপক্ষের শস্যের মধ্যে ভূত আছে। এই ভূত দূর করা দরকার। এদিকে করোনাকালে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা কোথায় সিএসআরএর আওতায় ছাত্রছাত্রীদের অন্তত বারো ঘণ্টার জন্য ফ্রি ইন্টারনেট সার্ভিস দেবে তা নয়, বরং কেমন করে এ চার্জ বেশি করা যায় সে ব্যাপারে শশব্যস্ত। তারা এক ধরনের ষড়যন্ত্র করে কম ট্যাক্স দিতেও ব্যস্ত। সেদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাই জানাল, তার প্রতি মাসে দু’হাজার টাকার বিদ্যুত বিল আসত, এখন আট হাজার টাকা। কমপ্লেইন করেও ফল আসছে না। কোরবানির পশু নিয়ে যেমন একটি চক্র এবার ডিজিটাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে, তার আর্তি বোধ হয় মেয়র আতিক সাহেব পর্যন্ত পৌঁছেনি।
আবার যারা হঠাৎ করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে আমার বক্তব্য, গত এক বছরে বিশেষ করে পেনডেমিকের আগে নতুন চামড়ার বাজার কেন খোঁজা হয়নি? ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতিবর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কমিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি আমাদের দেশের জন্য লজ্জাজনক। গরিবের হক যে মাফিয়াচক্রটি বছরের পর বছর মেরে খাচ্ছে, তাতে চামড়াজাত পণ্যের বহুধাবিভক্তিকরণ ব্যাহত হচ্ছে এবং নতুন রফতানির বাজার খোঁজা হচ্ছে না। বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের কুম্ভকর্ণের ঘুম কখন ভাঙবে তা বোধগম্য নয়। বৈরী সময়ে একজন অর্থমন্ত্রী বিদেশে দীর্ঘকাল থাকা মানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর ওপর বাড়তি চাপ। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী নিরন্তর কাজ করছেন। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় কিভাবে কাজ করছে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কিভাবে কাজ করাচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীই জানেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক একজন দক্ষ গবর্নর এবং পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় একজন দক্ষ কা-ারির দরকার ছিল।
Leave a Reply