প্রথাগত বিপনন ব্যবস্থায় কৃষক ও খামারীদের মুনাফা দেওয়া সম্ভব নয়। এজন্য মহামারী পরিস্থিতি ছাড়াও সামনের দিনে বিপনন ব্যবস্থায় নতুনত্ব আনতে হবে। অনলাইন মার্কেটিং এর পাশাপাশি বিপননে নতুন কৌশল নিতে হবে। দেশের অনলাইন বিপননে আরো তদারকি ও মান বাড়ানো প্রয়োজন। অনলাইন বিপনন মানহীণ হলে মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে। তখন সেই ব্যবস্থাও ঝুকিতে পড়তে পারে। মহামারি পরিসিত্মতিতে দেশের গ্রামীন ও প্রান্তিক মানুষের কাছে বন্টন সুনশ্চিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা প্রয়োজন।
গতকাল ডিজিটাল মার্কেটিং আন্ডার প্যানডেমিক সিচুয়েশন: প্রেজেন্ট এ্যান্ড আফটার মাথ” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস (ডিএসসিই) এর আয়োজনে সেমিনারে তিনটি অধিবেশনে বিশ্বেও বিভিন্ন দেশের অধ্যাপকরা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড, ভারত, অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও শিড়্গাবিদ ছাড়াও বিভিন্ন করপোরেট সেক্টরের প্রদান নির্বাহি ও উদ্যোক্তারা বক্তব্য রাখেন। ছয় দেশের প্রায় ৭০ জন বিশেষজ্ঞ ও শিড়্গার্থি এই সেমিনারে অংশগ্রহন করেন।
ডিএসসিইর উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী সভাপত্তিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেশন চেয়ার হিসেবে ছিলেন ডিএসসিইর গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও পলস্নী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, করোনা পরিসিত্মতিতে বাংলাদেশের তৃনম–ল পর্যায়ে বন্টন ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। পন্য ও সুবিধা পৌছাতে নতুন কৌশল নিতে হবে।
একটি কারিগরি সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে হিসেবে ছিলেন থাইল্যান্ডের নারিসুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও কমিউনিকেশন অনুষদের ডিন ড. ভিসওয়ানা রত্নাভূষন। এছাড়া সেশনের নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের জিএনভিএস ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সহযোগি অধ্যাপক ড. ইয়াশোদা কৃষ্ণ দুর্গা, কানাডার বিপনন ও ব্যবস্থাপনা কৌলশবিদ তসলিম আহমেদ।
ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হাট গরম্নর হাট বন্ধ করে ডিজিটাল বিপনন জোরদার করা হচ্ছে। এটির প্রয়োজন আছে কিন্তু এখনও সস্নটার ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে বসতবাতি ও আবাসিক এলাকায় পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এতে বাজারে নেতিবাচক চাহিদার সৃষ্টি হবে। খামারীরা ড়্গতির মধ্যে পড়তে পারে। তাই বিপনন কৌশল যেমন পরিবর্তন করতে হবে তেমনি ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
এছাড়া গতকালের সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন প–বালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দিন আরিফ, ড্যাফোডিল গ্রম্নপের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের সাবেক ব্যভস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, ভারতের বিখ্যাত শিড়্গাবিদ অধ্যাপক অরম্নপ চৌধুরি, সিটিসেলের সাবেক প্রধান নির্বাহি মেহবুব চৌধুরি বক্তব্য রাখেন। উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রেহানা পারভীন ও সারাহ তাসনীম বিভিন্ন সেশনে স্বাগত বক্তব্য ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
Leave a Reply