হজ্ব পালন ও যাকাত দান

কবির সাহেব একজন নেতা।সামনে ইলেকশন।তাই এখন তিনি মানুষের ভোট পাওয়ার জন্য ইসলামী শরিয়তের নিয়মকানুন মেনে ৪০ টা পরিবারকে যাকাত   দিলো।

উপরে বর্ণিত  কবির  সাহেবের যাকাত আল্লাহর কাছে কবুল হয়নি। কারন সে আল্লাহ পাকের খুশির জন্য নয় ইলেকশন জয়ের জন্য  যাকাত দিয়েছে। যাকাত দেয়ার নিয়ম হলো শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার জন্য যাকাত দেয়া। যাকাত দেয়ার মধ্যে কোনো রকম দুনিয়াবি সার্থ থাকলে সে যাকাত কবুল হবে না আল্লাহর কাছে । 

 

হজ্ব পালনঃ

বাসিত সাহেব একজন মেয়র। হজের মৌসুম কাছাকাছি। আর ৭ মাস পর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। তিনি ভাবলেন এবার যদি হজে যাই,তবে সামনের নির্বাচনে জিততে সুবিধা হবে। তো এবার তিনি হজের নিয়ম কানুন মেনে হজ করলেন।

উপরে বর্ণিত বাসিত সাহেবের হজ আল্লাহর কাছে কবুল হয়নি।কারন তার উদ্দেশ্য সহিহ না।শুধুমাত্র আল্লাহর খুশির জন্য হজ আল্লাহ কবুল করেন।হজ করার উদ্দেশ্যের মধ্যে কোনো রকম দুনিয়াবি স্বার্থ থাকা যাবে না।অন্যথায় হজ কবুল হবে না।বাসিত সাহেব নির্বাচন জয়ের জন্যে হজ্ব করেছেন ।

অর্থাৎ হজ্ব পালন ও যাকাত দান শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশে করা উচিত।

হাশরের ময়দানে অনেক দানশীল ব্যক্তির দান,অনেক হাজির হজ,অনেক শহিদের শহিদী বিফলে যাবে।যখন তারা আল্লাহর কাছে এর কারন জানতে চাবে তখন আল্লাহ উত্তর দিবেন তোমরা এগুলো শুধুমাত্র আমাকে খুশি করার জন্য করনি।করেছো মানুষ তোমাদের দানশীল বলবে,হাজি বলবে,শহিদ বলবে তাই করেছ।

আসুন আমরা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ্ব করি।সবাই  ভালো থাকুন।আল্লাহ হাফিজ।        

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *