দপ্তরী কাম প্রহরীদের ঈদের দিন নাই ছুটি, স্বাক্ষর করতে হয় খাতায়

সারা বাংলাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরী কাম প্রহরী প্রায় ৩৮ হাজারের মত। ২০১৩ সাল হতে আজ ২০১৯ পর্যন্ত ঈদের দিন কোন ছুটি নাই, তারা এই উৎসবের দিনেও স্বাক্ষর দিচ্ছে হাজিরা খাতায়। দুঃখের বিষয় তাদের কোন ছুটি নেই।

দপ্তরী কাম প্রহরীদের নিয়োগ আদেশে লেখা আছে “সরকারি ছুটি ব্যতিত কোন ছুটি নেই”। কিন্তু সেই ছুটিও তারা উপভোগ করতে পারে না। কারণ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রকাশ্যে বলেন তাদের নাকি ছুটি নাই।

দুঃখের বিষয় দপ্তরীরা মুখ খুলে বলতে সাহস পায়না যে, প্রতিষ্ঠানের যে ক’দিন সরকারি ছুটি সে ক’দিন তাদেরও ছুটি আছে। কারণ এই কথা বল্লেই তাদের বেতন বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। তাই মুখ বুজে তারা চুপ থাকে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্ল্যাণ সমিতি সিলেট জেলাপ্রচার সম্পাদক মোঃ লোকমান হেকিম লেখাপড়া বিডিকে জানান, ” এই বছরের শুরু দিকে ‘সাপ্তাহিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম’ এর আওতায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রিয় বিদ্যালয়কে পরিষ্কার রাখবে শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই; শিরোনামে এক পরিপত্র জারি করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এই ঈদের ছুটিতে ডেঙ্গু নিধনের জন্য আরেকটি  পরিপত্র জারি করা হয়। 

সেই লক্ষ্যে কি কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান টিম গঠন করেছেন?  আমার মনে হয় কিছু কিছু সহৃদয়বান প্রতিষ্ঠান প্রধানরা করেছেন। আর বাকিরা ঘুমিয়ে। কিন্তু পরিপত্র বহির্ভূত কাজ করে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রধানরা দপ্তরীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

হায় বিবেক! দপ্তরীদের কি মা,বা,ভাই,বোন, বউ, বচ্চা নেই? তাদের কি ঈদে পরিবারকে সময় দেওয়ার অধিকার নেই?”

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্ল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে মোঃ লোকমান হেকিম সকল দপ্তরি ভাইদেরকে গ্রুপিং বাদ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানান। তিনি সরকারের প্রতি চাকুরি জাতীয়করণের জোরালো দাবি জানান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কমনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *