মো. ইকবাল হোসেন, বশেমুরবিপ্রবি: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ত:বিভাগ ফাইনাল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ( এআইএস) বিভাগকে হারিয়ে আন্ত:বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি (বিএমবি) বিভাগ।
২৬ শে জুলাই, শুক্রবার, সকাল ১১টায় বশেমুরবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের ৪১৩নং কক্ষে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের বিষয় ছিল “ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রচারণার মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভাব”। বিতর্কে নির্ধারিত বিষয়ের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে এআইএস বিভাগ এবং বিপক্ষে অবস্থান করে বিএমবি বিভাগ। আন্ত:বিভাগ এই বিতর্কে বিএমবি বিভাগ মোট ২২৪.৪০ পয়েন্ট অর্জন করে জয়লাভ করে। অপর দিকে এআইসি বিভাগের পয়েন্ট ছিল ২০৪.৫২৭।
এসময় একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সভাপতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: আব্দুল মান্নান খাঁন এবং বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সভাপতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো: লুৎফুল কবিরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার মডারেটর ছিলেন ইংরেজি বিভাগের লেকচারার সুমাইয়া আলম এবং বিচারকমন্ডলীর সদস্য ছিলেন যথাক্রমে জুবায়ের আল মাহমুদ, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, তানিয়া ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, শানিতা জামান স্মৃতি, প্রভাষক, ফার্মেসী বিভাগ এবং উপদেষ্টা বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি, টুম্পা রাণী সাহা, প্রভাষক, সিএসই বিভাগ, তানিয়া ইসলাম, প্রভাষক, ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স এবং ইমদাদুল হক সোহাগ, প্রভাষক বিজিই বিভাগ।
বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি নূর উদ্দিন নাহিদ বলেন, “বশেমুরবিপ্রবি আন্ত:বিভাগ এই বিতর্ক আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতার গুরুত্ব সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে এবং আমরা অনেক সুদক্ষ বিতার্কিত খুঁজে পাব।”
রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার মো: এমদাদুল হক বলেন, “ বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে সামাজিক মূল্যবোধ ও নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চর্চায় উৎসাহিত করার জন্যই আমাদের এ আয়োজন।”
“বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি” এর মডারেটর এবং যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমে ডিবেটিং সোসাইটি একটি মডেল হিসেবে সবার মাঝে পরিচিত তিনি হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর তছলিম আহমেদ। তিনি বলেন, “বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের যুক্তি এবং মুক্তবুদ্ধির অন্বেষণ বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা তথ্য আদান-প্রদানে যথেষ্ট ভুমিকা পালন করে।”
তিনি আরো বলেন, বর্তমান আধুনিক বিশ্বে ইংরেজি ভাষা চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি আগামীতে বশেমুরবিপ্রবি ইংরেজি ডিবেটিং সোসাইটি গঠন করতে আগ্রহী। তাছাড়া প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্টে একটি করে ডিবেটিং সোসাইটি থাকা আবশ্যক বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন “বশেমুবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি” এর অনুমোদন দেন। “যুক্তি হোক শক্তি” এই স্লোগানকে সামনে রেখে এ ডিবেটিং সোসাইটির পথ চলা। বশেমুবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান পৃষ্টপোষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য এবং মডারেটর তছলিম আহমেদ, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগ।
Leave a Reply