ভালবাসার বর্গাচাষী- মো. এমদাদ ইমন এর কবিতা

 

ভুলটা তো ছিল সহস্র হৃদয় কঠিন পায়ে মাড়িয়ে এসে তোমার হৃদয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে যাওয়া-
তোমার হৃদয়ে বসবাস করার জন্যই এত আকুতি ছিল!
কিন্তু উল্টো হয়ে গেল,আমার হৃদয়ে তোমার বসবাস আর তোমার হৃদয়ে অন্য-
প্রেমের তীর মেরে কাঁদিয়ে-হাসিয়ে ইশ্বর হলো ধন্য।

যখন প্রেমের রাজ্য পরিভ্রমণরত ছিলাম-
তখন প্রেমের দেবতার মে’জ এর উপর ছড়ানো কেতাব’টিতে আমার নামের পাশে তোমার নাম ছিলনা-দেবতার সাথে বিক্ষুব্ধ আচরণ শেষে মায়াপুর ফিরে এসেছিলাম ঠিকই,কিন্তু হৃদয়ের মরুতে তোমাকে বৃষ্টি করে।
অযুত-নিযুত হৃদয় পায়ে পায়ে মাড়িয়ে তোমার হৃদয়ে এসেছিলাম বসবাস করতে-
কিন্তু ততদিনে তোমার হৃদয় বিক্রি হয়ে গেছে!
আমি’তো ইজারাদারেই ক্ষান্ত ছিলাম,কারণ তোমার হৃদয় ক্রয়ের বিলাসী ভালবাসা হয়তো আমার পুঁজিতে ছিলনা।

আমার পচনশীল হৃদয়ের কেদারায় কোনো মালকিন নতুন করে ঠাঁই নেয়নি-
বরং সহস্র আলোকবর্ষ ধরে তুমি’ই রয়ে গেছো।
কারণ,তুমি আমার হৃদয়ের ইজারাদার নয়,মালকিন-
তবে ভালবাসা চাষী হিসেবে ইজারাদার হিসেবেও আমি মন্দ ছিলাম না-
তোমার অক্ষত হৃদয়ে সযত্নে পবিত্রকল্পে ভালবাসা’র চাষ করে গেছি।
ভাবতেই অবাক লাগে,আমিই ছিলাম ভালবাসা’র প্রথম বর্গাচাষী-
যে,কিনা নিজের হৃদয় বিনা দরে তোমায় বিকিয়ে দিয়েছে।

আমার অনুভূতি সহস্র আলোকবর্ষ,
আর তোমার ছিল প্রজাপতির সঙ্গমের মত কিঞ্চিত সময়ের জন্য-
তাই আমার ভালবাসা’র মাত্রাতিরিক্ত চাষাবাদও তোমার হৃদয় ক্রয়ের জন্য উপযুক্ত ছিলনা-
সহস্র হৃদয় পায়ে পায়ে মাড়িয়েছি জানো কি ললনা?
কোথাও দাড়াইনি-
তোমার হৃদয়ে’ই থমকে গিয়েছিলাম বসতি গড়ার লোভে-
এখন হৃদয় ফেঁটে যায় বিধির লীলার ক্ষোভে!

এইসব কিছুতেই ভালোবাসা নয়,
এসব কেবল পাঁজর ভাঙ্গার ছল!
প্রচন্ড ধুলিঝড়ে চোখ বুজেও তোমায় পাই-
বালিকণা গুলো যেন তুমি আর বিলাসী ভালবাসা।যা,
আমার হয়নি কখনো,
তোমাদের হলে জানিও,
বিষন্ন নগরীর দিকে যে দেয়াল’টা আছে-
সেখানের অব্যবহৃত ডাকবাক্সে জমা পুরানো চিঠির-
মরচে পড়া হৃদয়ে,ভুল করেও-
হঠাৎ একটাও গোলাপ জন্মায়নি!
জন্মেছে শত-সহস্র ক্যাকট্রাস।
জন্মেছে ঘুণে ধরা ভালবাসার বিষাদ ইতিহাস-

কবির পরিচয়ঃ

____মো. এমদাদ ইমন।
হাজী আসমত কলেজ,ভৈরব।

 





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*