বাস্তবতার শুদ্ধ অভিযানে তোমাকে;
হয়তো হারিয়েছি সাকি-
তবে শোনো,তোমার দেয়া কিঞ্চিত ছোয়া টুকুনই যথেষ্ট ছিল ভালবাসা বুঝতে!
অন্ধত্ব হয়তো অনেককিছুই আড়াল করে দেয়-
যেমন যন্ত্রণা’টা অতি আড়াল বস্তু-এর বসবাস পাম্প-মেশির আশেপাশে।
ওগো তুমি জানো!
দুঃখ আমায় পরিয়েছে রাখি?
প্রিয়তা,এ ধামের অনেককিছুই অগোচরে থেকে যায়-
যেমনটা পাখিদের মন খারাপে তোমায় মনে পড়ে!
পোষা পাহাড় যেমন কেঁদে কেঁদে নদীর সৃষ্টি করে,
তোমার বিয়োগ আমার প্রকোষ্ঠে ঠিক তার উল্টো মরুভূমি তৈরিতে ব্যস্ত-
আর চোখের তো অশ্রু খেলাপির দায়ে আজীবন অশ্রুসিক্ত থাকার সাজা হয়েছে।
যেমন’টা পোষা পাহাড় কেঁদে নদী হয়ে বেড়ায়-
অরিত্রী জানো?
আমি যখন ব্ল্যাকহোলের কল্পনায় বিভোর থাকি
তখন মহাকর্ষীয় বল আমায় কেন ফিরিয়ে আনে?
কারণ পুরো প্লানেট জানে আমি তোমায় কত্ত ভালবাসি-
তোমরা না জানো ওরা তো জানে,তাই একটা প্রেমিক’কে শুদ্ধ-অভিযানে ওরা ব্ল্যাকহোলে যেতে দেয়না!
ওরা জানে আমি চলে গেলে তুমি ভালবাসার খরা’য় ভূগবে।
ওরা চায়না পৃথিবীকে ভালবাসা বঞ্চিত করতে-
তাই মহাকর্ষ আমায় আটকে ফেলে।
মায়া জানো?
পৃথিবীর যোনিপথে বহুবার পালাতে চেয়েছি-
কিন্তু তোমার মায়াভরা মুখ যখন ভেসে উঠে তখন আর পারি না।
মায়া তুমি প্রজাপতির সঙ্গম দেখেছো?
কেনোই দেখবে না বলো?তুমি তো মায়াপুরেই থাকো!
সাকি তুমি কি ক্ষণিকাতে ফেরো?
আমি শেষ ট্রেনে দাঁড়িয়েই ফিরি-
অরিত্রী কি প্রথম সারিতে বসে প্রেমিকের চোখে এখনো চোখ রাখো?
আমি রাখি-হাজার চক্ষু ফাঁকি দিয়ে এখনো তোমায় দেখি।
হৃদয়’টা টারশীয়ারি যুগের প্লাবন সমভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছে-
আর সে ভূমির উপরে তোমরা ভঙ্গিল পর্বত,তোমাদের দেয়া ভালবাসা দুঃখে হয়ে ক্ষয়ে যায়-
বড্ড ভুলে যায়,মানুষ বড্ড ভুলে যায়।
বাস্তবতার শুদ্ধ অভিযানে আমিও রয়ে যাই-
কোনো এক কাল্পনিক রজনীতে তোমাদের সঙ্গী করে পথ চলতে ব্যস্ত হয়ে যাই!
মায়াকে কাঁদিয়ে,
তোমাদের মায়াপুরে ঘুরতে নিয়ে যাই,প্রজাপতির সঙ্গম দেখাই,পোষা পাহাড় দেখাই,পাখিদের দুঃখ দেখাই-
তবুও তোমরা ভুলে যাও।
বাস্তবতার শুদ্ধ অভিযানে এই আমাকে কেবল আমাতেই ফেলে রেখে যাও-
ঘুণ পোকার চাষী হয়েছিলাম,তোমরা কৃষানী হওনি,
তাই খাজনা হিসেবে আমার হৃদয়ে ঘুণে ধরেছে-
সর্দার বলেছে পুরো’টা খেয়ে নিতে আমিও না করিনি।
কিন্তু ঘুণ পোকা চাষের সময় ওরা আমার ভক্ত বনে গিয়েছিলো তাই শাস্তি মওকুফে ছিন্নভিন্ন হৃদয়’টা ফেলে রেখে অভিমানে চলে গেছে বহুদূর!
যেমন’টা তুমি-
বাস্তবতার শুদ্ধ-অভিযানে আমাকেই ফিরে পেতে হয় নিউরন-নাশী যন্ত্রনা।
অতপর-
বাস্তবতার শুদ্ধ-অভিযানে আমায় স্ট্যাচু করে রাখা হয়েছে ব্যস্ত রাস্তার নিয়ন বাতির নীচে-
কেবলই বাস্তবতার শুদ্ধ-অভিযানে!
Leave a Reply