আবির মাহমুদ (দলিল)
ঋতুচক্রের আবর্তনে চলে আমার দেশ,
ছয় ঋতুতে রুপ নেয় এই আমাদের বাংলাদেশ।
ঋতুচক্রের সূচনা হয় গ্রীষ্মকাল দিয়ে,
সে আসে ভাই মাথায় অগ্নি কু্ণ্ডলি নিয়ে।
কি বলবো তার গুণের কথা,
ভয় পেয়ে যায় সবাই দেখিয়া।শুকিয়ে যায় নদী-নালা,
শুকিয়ে যায় ডোবা।
তৃষ্ণার্থ থাকে ধরণী,
সারাখন সারাবেলা।গ্রীষ্ম যায় বর্ষা আসে,
চারিদিকে পানি নিয়ে।
জেলে ভাই ধরে মাছ,
মাছেরা করে খেলা-মেলা।মাঝি ভাই ডিঙি বায়,
নদীর আঁকে বাঁকে।
দুষ্টু ছেলেরা গোসল করে,
সবাই মিলে -মিশে।বর্ষা গেল শরৎ এলো,
সঙ্গে আনিল শিশির ভেজা জামা।
আনিল শেফালির মালা,
আরও আনিল সাদা মেঘের ভেলা।নদীর তীরে কাশফুল করে ঝিলিমিলি,
এ দেখিয়া মনটা আমার করে হাসাহাসি।শরৎতের পর আসে হেমন্ত
এ যে ঋতুচক্রের খেলা।হেমন্ত যে রসে ভরা,
রস খেয়ে হই মাতোয়ারা।কৃষকেরা ধান আনে বাড়ি,
ধান নিয়ে করে সবাই বানা-বানি।
কাজে নাই তাদের,
কোন ঠেলাঠেলি।হেমন্ত যায় শীত আসে
কুয়াশার চাদর গাঁ দিয়ে।শীত বস্ত্রহীন মানুষ গুলা,
করে কাঁপাকাপি।
আগুন নিয়ে তারা,
করে খেলা-খেলি।পিঠা পুলি বানাই ঘরে ঘরে,
পিঠা পুলি খেয়ে দিন যায় কেটে।শীতের পর আসে বসন্ত
এ যে প্রকৃতির খেলা।গাছে গাছে নতুন পাতা মেলে ভাই,
কোকিল ডাকে সারা বেলা।
এ দেখিয়া আমার মন,
হয়ে যায় উতলা।লিখিতে লিখিতে শেষ করিলাম,
ঋতুচক্রের এই জীবন বেলা।
Leave a Reply