একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একই সঙ্গে ফের ক্ষমতায় গেলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনেরও আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। একজন শিক্ষার্থী অনার্স পাস করে ২৪ বছর বয়সে। বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করা হলে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি একই চাকরির পরীক্ষা যাতে সর্বোচ্চ তিনবার দিতে পারে- তেমন একটা ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার বিষয়টি গুজব
কিন্তু আজ শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন ‘আগামী মাসে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করে দেওয়া হবে’ এমন খবর গুজব।
তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ নিয়ে আমি কোনো কথা বলিনি। প্রথমে আমি এটা জানিয়ে রাখছি। এটা তারাই গুজব ছড়াচ্ছে। নিউজের মধ্যে আমার কোনো ভয়েস আছে? ভয়েস না থাকলে হয় কী করে! এটা ফলস অ্যান্ড ফেব্রিকেটেড!
কাদের বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। সরকারের সিদ্ধান্তের আগে আমি কী বলব। আমি সরকার ও পার্টির ইমপর্ন্টেট জায়গায় আছি। আমার ইরেসপন্সিবল কোনো কথা বলা উচিত না। চাকরিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত সরকারি পর্যায়ে এখনও হয়নি। আমি এ ব্যাপারে কোথায় মন্তব্য করালম, আমার তো জানা নেই। ইট ইজ ফেইক অ্যান্ড ফলস।
জামায়াত ৭১ এর জন্য ক্ষমা চাইলে কতটুকু দায়মুক্ত হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি এতকিছু বুঝি না, আমার বক্তব্য হচ্ছে এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এখনও তারা এটা অফিসিয়ালভাবে এপোলোজাইজ করেনি। আমি গতকাল বলেছি তারা এপোলোজাইজ করার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়। এপোলোজাইজ করার পর মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত নেতার পদত্যাগ তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা তাদের দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। জামায়াত বিভক্ত হতে যাচ্ছে এ খবর প্রকাশের পর দলের ভেতরে যারা আছে তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারে। দলটির নেতাদের ইনটেনশন এখনও ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা আগে ক্লিয়ার হোক, তারপর মন্তব্য করা যাবে।
জামায়াত নতুন নামে আসলে আওয়ামী লীগ তাদেরকে স্বাগত জানাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নতুন নামে, নতুন বোতলে পুরানো মদ আসলে পার্থক্য কোথায়! জিনিস তো একটাই। তাদের আদর্শ ঠিক আছে, নতুন নামে আদর্শ আসবে। তাহলে পার্থক্য কোথায়! দেখতে হবে এ বিষয়গুলো। নানা কথা মিডিয়ায় আসছে। এগুলো আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার, তার আগে আমরা কেনো মন্তব্য করতে যাব?
এটা জামায়াতের কৌশলও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।
Leave a Reply