যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ৯১৫ আসনের বিপরীতে ৪৪ হাজার ১৮১ আবেদনকারীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে ৪৮ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
গত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৩৮ হাজার ২৩৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা বাড়ানোয় এবার আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ হাজার ৯৪২ জন।
আগামী ১ নভেম্বর পর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ভর্তিচ্ছুরা। তবে, ১০ নভেম্বর পরে ভর্তিচ্ছুরা প্রবেশপত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ পাবেন না।
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ইউনিটে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগের মোট ৯১৫টি আসনের বিপরীতে এ ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ২৭০টি আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ৪২৬ জন, ‘বি’ ইউনিটে ১৮০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৬৭ জন, ‘সি’ ইউনিটে ২৩৫টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৬৩৩ জন, ‘ডি’ ইউনিটে ৬০টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ১৫৪ জন, ‘ই’ ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে ৬১৪ জন এবং ‘এফ’ ইউনিটে ১৪০টি আসনের বিপরীতে ২ হাজার ২৮৭ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এ আসনগুলো ছাড়াও মোট আসনের মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং যবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
এরমধ্যে লেদার টেকনোলজি; ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন, মার্কেটিং এবং বাংলা বিভাগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনাধীন আছে। ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে এ চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৯ থেকে ১১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট, দুপুর সাড়ে ১২ থেকে ২ টা পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে ৩ থেকে ৫ টা পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
২৩ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিট, বেলা ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টাপর্যন্ত ‘ই’ ইউনিট এবং সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় চলাকালী সময় সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন: ক্যালকুলেটর (শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যালকুলেটর আনা যাবে), মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ নির্দেশ অমান্যকারীকে হল থেকে বহিস্কার করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বন করতে না পারে এ জন্য সবক’টি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
ভর্তি পরীক্ষা শেষে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। আর একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ওরিয়েন্টশন ও ক্লাস ২ জানুয়ারি শুরু হবে।
Leave a Reply