বাংলাদেশের প্রত্যেক বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সংযোগ ও নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরির জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শিগিগিরই বিদ্যালয়গুলোকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নিজস্ব ওয়েবসাইট না থাকলে সেই বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, স্বীকৃতির নবায়ন, নিবন্ধন মিলবে না। সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন, নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে প্রত্যেক বিদ্যালয়কে ওয়েসবাইট তৈরি এবং ইন্টারনেট সংযোগ নিতে হবে।
যাদের ওয়েবসাইট ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না তাদের স্বীকৃতি ও নিবন্ধন দেওয়া হবে না। নিবন্ধন নবায়নের শর্তও থাকবে তাই। পাঠদানে অনুমতি চাইলেও নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাব থাকতে হবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, প্রতিষ্ঠান-সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। অনেক মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ অনলাইনে ফাইল আদান-প্রদান করে যাচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে দেশে এক লাখ ৩০ হাজার বিভিন্ন স্তরের বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট থাকলে মন্ত্রণালয়, বোর্ড, শিক্ষা অধিদফতরের আদেশ-নির্দেশ সহজেই আদান প্রদান করা যাবে। এতে অর্থ ও সময়ের অপচয় কমবে।
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার করে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে বিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষার নম্বর আপলোডসহ তথ্য আদান প্রদান-করতে পারবে। এতে কষ্ট ও খরচ কমে যাবে। তবে সবাই সম্মত হলেই এটা করা সম্ভব।
ওয়েবসাইটের একটা মডেল তৈরি করে দেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষাসচিব বলেন, এতে সব স্কুল একইভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবে।
তবে প্রান্তিক স্কুল যেগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই সেগুলোর জন্য আপাতত এটি বাধ্যতামূলক হচ্ছে না।
বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে; যেখানে কম্পিউটার, মডেম, প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply