

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান শিক্ষা সচিব নিযুক্ত হয়েছেন। আজ ০১/০৯/২০১৪ তারিখ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্তে এক আদেশ জারি করেছে। বর্তমান শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক ১৮ সেপ্টেম্বর অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাচ্ছেন।
এন আই খান নামে পরিচিত জনাব নজরুল দীর্ঘদিন যাবত এটুআই-এর জাতীয় প্রকল্প পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। এর আগে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পিএস ছিলেন। তারও আগে ২০০৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। তারও আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মাধ্যমিক ছিলেন।
এছাড়াও ১৯৮২ ব্যাচের আজিজার রহমান ‘৮৩ ব্যাচের শ্যামল কান্তি ঘোষ, ‘৮৪ ব্যাচের খন্দকার শহিদুল্লাহ ও শ্যাম সুন্দর সিকদারকে সচিব করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে এন আই খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব – ১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক।
এন আই খান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিতে নানা উদ্ভাবনী প্রকল্প ও উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এন আই খান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রামের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দিতে ইউআইএসসি, জেলা ও উপজেলা ই-সেবা কেন্দ্র স্থাপন, ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’, ‘বাড়ি বসে বড়লোক’, ‘চাকরি নেব না, চাকরি দেব’, ও সরকারি বিভিন্ন সেবার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরিসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির নানা কর্মসূচি ও আইসিটি অবকাঠামো তৈরির প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করেন।
ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি সাফল্যের সাথে শিক্ষা জীবন অতিক্রম করেছেন। তিনি জীবনের সব পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
শিক্ষা খাতের ডিজিটাইজেশন পরিকল্পনা সম্পর্কে এন আই খান গণমাধ্যমকে বলেন, মাল্টি মিডিয়া বুক তৈরি, ভালো ডিজিটাল কনট্যান্ট তৈরি, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব তৈরি, এমপিও ডিজিটাল করা ও সব স্কুলের ওয়েবসাইট তৈরিসহ আইসিটিভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
এন আই খান ব্যাপক পরিসরে শিক্ষার সাথে তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে মন্ত্রীর পরামর্শ ও নির্দেশে কাজ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
নজরুল ইসলাম খান স্যারকে “লেখাপড়া বিডি” পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণ ঢালা শুভেচ্ছা!
Leave a Reply