মোহাম্মদ রাহাদ রাজা (ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি) # কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী স্নিগ্ধা (২০) নামক হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিশিরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন।
উক্ত মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২০১২ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চুনিপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিহাব ও সদর উপজেলার চৌড়হাস এলাকার আব্দুল বারীর মেয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী স্নিগ্ধা পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করেন। ২ পরিবার বিয়ের ব্যাপারটি মেনে না নেওয়ায় তারা ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী শিহাব স্ত্রী স্নিগ্ধাকে নিয়ে তার খালার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর নওদা বহালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আমিনুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানে একটি ঘরের মধ্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় শিহাব।
এ ঘটনার দিন নিহতের খালাত ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় শিহাবকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি শিহাবকে গ্রেফতার করে ও তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পুলিশ প্রতিবেদন ও দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি শিহাব পলাতক ছিল।
কুষ্টিয়া জেলা আদালতের সরকারী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী আমদের ভ্রাম্যমাণ সাংবাদিক কে জানান, আসামি শিহাব মামলা চলাকালীন গ্রেফতার হন। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ রায়ে নিহতের স্বজনরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply