প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরীদের দুর্বিষহ জীবনযাপন

আমি বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ৪নং আলিডাঙ্গা জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদে কর্মরত আছি। সমগ্র বাংলাদেশে তিন ভাগের দুই ভাগ পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া আছে।

আমরা দপ্তরী কাম প্রহরী। “আমরাও মানুষ” আমাদেরও পরিবার পরিজন নিয়ে সমাজে আর দশটা মানুষের মত ভালভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে যার ন্যুনতম ভোগ করার মানবিক অধিকার আমাদেরও রয়েছে।

সারা বিশ্বে কোথাও ২৪ ঘন্টা (সার্বক্ষণিক) কার্যদিবস বা কর্মদিবস কোন কর্মচারির আছে কী? হয় দিনে ডিউটি অথবা রাতে ডিউটি কিন্তু কোথাও দিনরাত সমানে কোন প্রতিষ্ঠানে এমনকি কোন রাষ্ট্রেও নেই। বিশ্বের কোথাও এমনটি নেই যে কোন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি কিংবা কোন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে কোন কর্মচারির কোর প্রকার ছুটি নেই!

বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে না তবে দপ্তরী কাম প্রহরীদের ক্ষেত্রে কেন কোন নৈমিত্তিক ছুটির বিধান রাখা হয় নি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সবিনয়ে প্রশ্ন? এটা নিশ্চিত মানবাধিকার লঙ্ঘণের সামিল!

আর একটা বিষয় পরিষ্কার করাও প্রয়োজন বাংলাদেশের কিছু দপ্তরী কাম প্রহরীর আচরণ অনাকাঙ্খিত, অপ্রত্যাশিত (এখানে লিখে কাউকে হেয় করতে চাইনা) যা অনেক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকবৃন্দ, প্রধান শিক্ষক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে। আমি আশা রাখছি পদবি অনুযায়ী আচরণিক বহিঃপ্রকাশ বাঞ্চণীয়।

পরিশেষে উপরোক্ত দু’টি বিষয়ে গণপজাতন্ত্রের বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জনাব শেখ হাসিনা ওয়াজেদ মহোদয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপের বিনীত নিবেদন রাখছি!





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*