রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এমবিএ শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের নির্মম নির্যাতনের ঘটনায়ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দুপরে মোহাম্মদপুর এলাকার মোহাম্মদপুরস্থ আজিজ মহল্লার কাদেরীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ১০/৪হোল্ডিংস্থ ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাড়ীতে।
সুত্র আরো জানায়,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম লিখনের (২৪) সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে মোহাম্মদপুর থানার শফিক নামক জনৈক এসআই শফিক এ নির্মমতা চালায়। এসআই শফিক লিখনের বাসা থেকে জোর করে টেনে হেচঢ়ে রাস্তায় বের করে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করলে লিখন দিশাহারা হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আর এতে এসআই শফিক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স তাকে দৌড়ে ধরে এনে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়। এর পর তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পর দিন আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও লিখনের বড় বোন আয়শা আক্তার জানান,এ ঘটনার আগে ও একবার এসআই শফিক অন্য একজনকে সাথে নিয়ে লিখনদের বাড়ীেেত ঢোকে। ওই দিন এসআই শফিক আমার ও আমার মায়ের সাথে বাড়ীওয়ালা-ভাড়াটিয়া ফরম পুরনের ব্যপারে কথা বলে চলে যায়। আবার ওই দিন কিছু না বলেই এসআই শফিক একা হঠাৎ বাসায় ঢুকে পড়ে। এতে আমার ছোট ভাই লিখন ওই এসআইকে বলেন- এভাবে হুট একজনের বাসায় ঢুকে পড়া ঠিক নয়, কারন আমরা ও একটা সমাজে বাস করি। একথায় এসআই শফিক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, পুলিশের কোথাও ঢুকতে কোন অনুমতি দরকার হয় না। লিখন একথার পর বলে তা হলে যেসব আইন কানুনের কথা বলা হয়- সবই কি মিথ্যা। এতে এসআই শফিক আরো উত্তেজিত বলে ওঠেন, আমি সাধারন পুলিশ নয়। কারো কাছে আমার জবাবদিহি করতে হয়না। একথা বলেই ঘরের মধ্যেই আমার ভাইকে মারতে শুরু করে। আমরা সবাই ঠেকাতে চেষ্টা করলে পাশের মাদ্রাসার মিলাদ মহফিলের ডিউটিতে থাকা পুলিশ খবর দিয়ে এনে আমার ভাইকে মারতে মারতে বের করে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ী থেকে একটু দুরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটাকে থাকে। এসময় আমার ভাই দৌড়ে পালাতে চেস্টা করলে পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নেয়ার পর আবার নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। পর দিন তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ওই দিন বেলা দুইটা থেকে পর দিন বেলা দুইটা পর্যন্ত আমাদের কাউকে তার (লিখনের) সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়া হয়নি।
লিখনের ব্যবসায়ী বড় ভাই মোর্শেদ আলম জানান, বিনা কারনে পর পর দুই দিন ওই এসআই হঠাৎ হঠাৎ করে বাসায় ঢুকে পড়ায় আমার ছোট ভাই লিখন তার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়ায় তার এমন নির্যাতন চালানো হয়। ওই এসআই কোন ক্ষমতাধরের আত্মীয়। আর তাই সে বিনা কারনে বিনা অপরাধে লিখনের ওপর ক্ষমতা অপব্যবহার করছে। মোহাম্মদপুর থানায় এ ব্যপারে জানার জন্য যোগাযোগ করে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম লিখন সরকারী কাজে বাধা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply