কুবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত

বিনম্র শ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনসহ রয়েছে বেশ কিছু কর্মসূচী।

সকাল ১০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র‌্যালি, সকাল ১০.১৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বাদ জোহর শহীদ বুদ্ধিজীবিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন আবাসিক হল, বিভাগ ও সংগঠন কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আশরাফ বলেন, মহান বিজয় দিবসের মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে আমাদের দুয়ারে এসে উপস্থিত হয় শোক গভীর ১৪ ডিসেম্বর-মহান শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, আসন্ন পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতে পাক বাহিনীর ছত্রছায়ায় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি রাজাকারেরা বাঙালী জাতির বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং চিকিৎসকসহ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের জয়যাত্রা রুখতে এবং এদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সেই বিশ্বাসঘাতকদের অনেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজ ও রাজনীতিতে পূনর্বাসিত হয়েছে। এমনকি মন্ত্রিত্বও পেয়েছিল। তবে স্বস্থির বিষয় হলো একাত্তরের মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁদের বিচারকার্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকটি রায় কার্যকর হয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা আজও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে স্বক্রিয় রয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মানবতাবিরোধী সকল হত্যাকরীদের দন্ড কার্যকরের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।





Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*