খাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোয়াইনঘাট সিলেট থেকে মোঃ লোকমান হেকিমঃ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী পদটি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশে সুযোগ্য কান্ডারী, দেশরত্ন এবং বাংলার সফল প্রধান মন্ত্রীর নিজ ইচ্ছায় সৃষ্ট একটি পদ। নিঃসন্দেহে এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়াকে জানাই ধন্যবাদ। এই পদটি সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থান এবং দুমুটো ডাল ভাত পেটে দেয়ার সুযোগ হয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত দঃখের বিষয়,এই পদে যারা চাকুরীরত অবস্থায় আছেন তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সারাদিন স্কুলের বাথরুম পরিষ্কার থেকে শুরু করে চা সহ আরও অনেক কাজ করতে হচ্ছে সন্ধ্যা অবধি। রাতের বেলায় সারা রাত জেগে স্কুল পাহারা দিতে হচ্ছে। দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা খাটার পরও শিক্ষকদের অনেক আবদার শুনতে হচ্ছে। না শুনলে অনেক খরাপ কথা শুনতে হচ্ছে।
দিনরাত ডিউটি করতে করতে অনেক দপ্তরী শারীরিকও মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে ২৪ ঘন্টা ডিউটির নজির আছে বলে আমার মনে হয়না। দপ্তরীদের দুঃখ দেখার কেউ নেই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা সরাসরি আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমরাও মানুষ,আমাদেরও নাওয়া খাওয়ার প্রয়োজন আছে, পরিবার পরিজন আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এই করুন কাহিনী নিবেচনা করে আমাদের উপর সুদৃষ্টি বর্ষণ করুন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের আকুল আবেদন,এই পদটি জাতীয় করনের মাধ্যমে, ২৪ ঘন্টার বদলে ৮ ঘন্টা, রাতে অথবা দিনে, যে কোন এক শিফটে ডিউটির ব্যবস্থা করে আমাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
আমি আমার দপ্তরী ভাইদের অনুরোধ করব এই পোষ্টটি শেয়ার এর মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দিন। যাতে করে আমার এই ছোট্ট পোষ্টটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌছাতে পারে। তবেই আমার এই ছোট্ট প্রয়াস সফল হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ২৬ ডিসেম্বরের মানববন্ধন বন্ধ করা হোক
Leave a Reply