বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির ২৬ ডিসেম্বরের মানববন্ধন বন্ধ করা হোক

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজ কিছু কথা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমাদেরই কিছু সহকর্মী চাকরী জাতীয়করণ, ৮ঘন্টা ডিউটি ও তৃতীয় ধাপের বেতনের দাবীতে মানববন্ধন করতে চাচ্ছেন। দাবীগুলো যৌক্তিক এবং সকলের দাবী।

গত ২২মে ২০১৬ তারিখ ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আমরা যে সমাবেশ করেছিলাম সেখানে মাননীয় শিল্পমন্ত্রী ও জাতীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি, মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি মহোদয়গন সহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ স্বীকার করেছেন দাবীগুলো যৌক্তিক।

মাননীয় শিল্পমন্ত্রী মহোদয় বলেছেন,” আপনাদের দাবীগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক আমরা মানি। আমরা এ বিষয়গুলো সরকারের সাথে আলোচনা করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদয়ভাবে বিষয়টি দেখবেন। দাবী আদায় করতে যা যা করা দরকার সেগুলো আপনাদের করার দরকার নেই। সাবধান! আপনাদের মধ্যে যেন বিশৃঙ্খলাকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে। তাহলে আপনাদের চাকরী নিয়ে টানাটানি হবে।”

এগুলো মাত্র ৬ মাস আগের কথা। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা উচিৎ। তাঁদের সাথে আমাদের আলোচনা অব্যাহত আছে। প্রয়োজনে আমাদের জাতীয় অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদের বিষয়গুলো তুলে ধরব। সেই প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করেছি। ধৈর্য্য ধরুন, বিশ্বাস রাখুন, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে দিন। এখন সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এতগুলো পথ খোলা থাকতে কার স্বার্থে এই মানববন্ধন?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাইলে অন্য আরও অনেক উপায় আছে সেগুলো করেন। আমরাতো সকলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে একবার ধন্যবাদ জানিয়েছি। মানববন্ধন করে কাউকে ধন্যবাদ জানানো যায় না। এটা বিব্রতকর ও হাস্যকর। অনুগ্রহ করে আমাদের হাসির পাত্র বানাবেন না।

সরকার বিব্রতবোধ করে এমন কর্মসূচী দিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ও অন্য সকল চেষ্টা বাধাগ্রস্থ হতে পারে। আলোচনার দরজা খোলা আছে। আসুন আমরা সকলে মিলে সেই চেষ্টা করি। ইনশা’আল্লাহ! সফল হবো। আলোচনার রাস্তা যদি বন্ধ হয়ে যায়, আর কোনো পথ যদি খোলা না থাকে, কেবল তাহলেই আমরা মানববন্ধনসহ যে কোনো কর্মসূচী দেবো। দাবী আদায়ের জন্য যা যা করনীয় সবাই মিলে তাই করব। আমাদের দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আরও কিছু সময় দেওয়া উচিৎ। তৃতীয় ধাপের মামলার রায়ের কপি বের হয়েছে এখন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। তবে মনে রাখতে হবে আলোচনাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।

আশাকরি সকলেই আমার কথাগুলো অনুধাবন করে আপাতত মানববন্ধন পরিহার করে আলোচনার পথে হাটবেন। ধন্যবাদ সকলকে।

ধন্যবাদান্তে

মোঃ লোকমান হেকিম

খাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গোয়াইনঘাট, সিলেট।





About লেখাপড়া বিডি ডেস্ক 1515 Articles
লেখাপড়া বিডি বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*