চলতি বছরও জেএসসি-জেডিসি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অষ্টম শ্রেণিতে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষা চালু করে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার এই পর্যবেক্ষণ দেয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা এবং পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা বাণিজ্য অর্থাৎ কোচিং বাণিজ্য নিরসন, খুদে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন মহল। এরই মধ্যে গত ১৮ মে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নীত করার সিদ্ধান্তে সেই দাবি জোরালো হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সম্প্রতি প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’এ বলা হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা হবে। এজন্য এটার সাথে সমন্বয় সাধনে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা পরিগণিত হবে।
প্রথম থেকে অষ্টম- এটাকে একীভূত করতে যাওয়ার আগে পঞ্চম শ্রেণিতে বিদ্যমান যে পরীক্ষা হয় সেটা বাতিল করে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাইমারি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব ছিল। মন্ত্রিসভা বলেছে, বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উপস্থাপনের জন্য।”
তিনি বলেন, “যতোদিন এটা চূড়ান্ত না হবে আগের মতো পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা চলতে থাকবে।”
কতদিনের মধ্যে বাতিল হতে পারে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “২০১৬ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের যে প্রক্রিয়া ছিল, ২০১৬-তে এটা করার (বাতিল) কারণ নেই। এটা পর্যায়ক্রমে প্রস্ততি নিয়ে করতে হবে। অর্থাৎ এখন প্রাইমারি স্কুল এক জায়গায়, হাইস্কুল এক জায়গায়.. এগুলো ওয়ার্কআউট করে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে হবে।
এ বছরও আগের মতো প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা হবে।”
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের আলোকে ২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী এবং পরের বছর থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা চালু করা হয়। এই সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে বৃত্তি দিয়ে আসছে সরকার।
সৌজন্যেঃ বাংলানিউজ
Leave a Reply