পবিত্র মাহে রমজান মাস ১৪৪৩ এর সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২: পবিত্র রমযান হল ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস। এটি সংযমের মাস। এই মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ সাওম পালন করে থাকেন। রমজান মাসে সাওম বা রোজা পালন ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাসের শেষদিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানগণ ঈদুল-ফিতর পালন করে থাকেন। আমরা প্রতি বছর আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে বাংলাদেশের রমজানের সময় সূচি ২০২২ প্রকাশ করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো ২০২২ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার অর্থাৎ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত রোজার সময়সূচি ২০২২ প্রকাশ করেছি। এই সময়সূচি থেকে আপনারা জানতে পারবেন বাংলাদেশে রোজা কবে থেকে শুরু ২০২২ হচ্ছে।

আপনাদের সুবিধার্থে লেখাপড়া বিডি’তে  বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী (হিজরী ১৪৪৩, ইংরেজি ২০২২) তুলে ধরা হল। প্রদত্ত প্রথম ছকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী শুধুমাত্র ঢাকা জেলার জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সাথে ঢাকা জেলার সময়ের কিছুটা পার্থক্য আছে। ঢাকার সময়ের সাথে কিছু সময় যোগ বা বিয়োগ করে অন্যান্য কতিপয় জেলার আজকের সেহরী ও ইফতারের সময়সূচী পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, ঢাকার সময়ের সাথে কত মিনিট যোগ বা বিয়োগ করলে অন্য জেলার সেহরি ও ইফতারের সময় পাওয়া যাবে তা জানতে এই পোস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছক দেখুন। আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ জানতে নিচে দেওয়া ছকে চোখ রাখুন। 

ঢাকা জেলার পবিত্র মাহে রমজান ১৪৪৩ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২

বাংলাদেশের রমজানের সময় সূচি ২০২২

হিজরি ১৪৪৩ রমজানএপ্রিল/মে
২০২২ ইং
বারসাহরির শেষ সময়ইফতারের সময়
০১০৩ এপ্রিলরবিবার৪-২৭ মিঃ৬-১৯ মিঃ
০২   ০৪ এপ্রিলসোমবার৪-২৬ মিঃ৬-১৯ মিঃ
০৩০৫ এপ্রিলমঙ্গলবার৪-২৪ মিঃ৬-২০ মিঃ
০৪০৬ এপ্রিলবুধবার৪-২৪ মিঃ৬-২০ মিঃ
০৫০৭ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪-২৩ মিঃ৬-২১ মিঃ
০৬০৮ এপ্রিলশুক্রবার৪-২২ মিঃ৬-২১ মিঃ
০৭০৯ এপ্রিলশনিবার৪-২১ মিঃ৬-২১ মিঃ
০৮১০ এপ্রিলরবিবার৪-২০ মিঃ৬-২২ মিঃ
০৯১১ এপ্রিলসোমবার৪-১৯ মিঃ৬-২২ মিঃ
১০১২ এপ্রিলমঙ্গলবার৪-১৮ মিঃ৬-২৩ মিঃ
     
১১১৩ এপ্রিলবুধবার৪-১৭ মিঃ৬-২৩ মিঃ
১২১৪ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪-১৫ মিঃ৬-২৩ মিঃ
১৩১৫ এপ্রিলশুক্রবার৪-১৪ মিঃ৬-২৪ মিঃ
১৪১৬ এপ্রিলশনিবার৪-১৩ মিঃ৬-২৪ মিঃ
১৫১৭ এপ্রিলরবিবার৪-১২ মিঃ৬-২৪ মিঃ
১৬১৮ এপ্রিলসোমবার৪-১১ মিঃ৬-২৫ মিঃ
১৭১৯ এপ্রিলমঙ্গলবার৪-১০ মিঃ৬-২৫ মিঃ
১৮২০ এপ্রিলবুধবার৪-০৯ মিঃ৬-২৬ মিঃ
১৯২১ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪-০৮  মিঃ৬-২৬ মিঃ
২০২২ এপ্রিলশুক্রবার৪-০৭ মিঃ৬-২৭ মিঃ
     
২১২৩ এপ্রিলশনিবার৪-০৬ মিঃ৬-২৭ মিঃ
২২২৪ এপ্রিলরবিবার৪-০৫ মিঃ৬-২৮ মিঃ
২৩২৫ এপ্রিলসোমবার৪-০৫ মিঃ৬-২৮ মিঃ
২৪২৬ এপ্রিলমঙ্গলবার৪-০৪ মিঃ৬-২৯ মিঃ
২৫২৭ এপ্রিলবুধবার৪-০৩ মিঃ৬-২৯ মিঃ
২৬২৮ এপ্রিলবৃহস্পতিবার৪-০২ মিঃ৬-২৯ মিঃ
২৭২৯ এপ্রিলশুক্রবার৪-০১ মিঃ৬-৩০ মিঃ
২৮৩০ এপ্রিলশনিবার৪-০০ মিঃ৬-৩০ মিঃ
২৯০১ মেরবিবার৩-৫৯ মিঃ৬-৩১ মিঃ
৩০০২ মেসোমবার৩-৫৮ মিঃ৬-৩১ মিঃ

ঢাকার সাথে বিভিন্ন জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়ের পার্থক্য

ঢাকার সময়ের সাথে একই হবে

সেহরি: নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর।

ইফতার: গাজীপুর, নেত্রকোনা, পিরোজপুর,মাদারীপুর।

সেহরি ও ইফতারঃ

ঢাকার সময়ের সঙ্গে যোগ (+) করতে হবে

জেলাসেহরিজেলাইফতার
মানিকগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী১ মিনিটময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট১ মিনিট
বরিশাল, ভোলা, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর২ মিনিটখুলনা, টাঙ্গাইল, নড়াইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর২ মিনিট
দিনাজপুর, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাও২ মিনিটশেরপুর, মাগুরা, জামালপুর৩ মিনিট
নওগা, ঝালকাটি৩ মিনিটযশোর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ৪ মিনিট
 নাটোর, পাবনা, রাজবাড়ি, মাগুরা, পটুয়াখালি, গোপালগঞ্জ৪ মিনিটপাবনা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ৫ মিনিট
রাজশাহী, কুষ্টিয়া, বরগুনা, নড়াইল, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ৫ মিনিটবগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, মেহেরপুর৬ মিনিট
খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পিরোজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ৬ মিনিটনাটোর,মেহেরপুর,কুড়িগ্রাম৭ মিনিট
মেহেরপুর, সাতক্ষীরা

৭ মিনিট

রাজশাহী, নাটোর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট৮ মিনিট
 নীলফামারী, দিনাজপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ১০ মিনিট
 – পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও১২মিনিট
 –   
 –   

ঢাকার সময় থেকে কমাতে (-) হবে

জেলাসেহরিজেলাইফতার
রংপুর, গাজীপুর, গাইবান্ধা, নোয়াখালী, কক্সবাজার১ মিনিটকিশোরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঝালকাঠি১ মিনিট
চট্রগ্রাম, নরসিংদী, জামালপুর২ মিনিটবরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, সুনামগঞ্জ, চাদপুর২ মিনিট

কুড়িগ্রাম, শেরপুর, লালমনিরহাট

২ মিনিটবি-বাড়িয়া, লক্ষীপুর, ভোলা, হবিগঞ্জ৩ মিনিট
 ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, ফেনী৩ মিনিটসিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার৪ মিনিট
 নেত্রকোনা, বি-বাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান৪ মিনিটফেনী৫ মিনিট
খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ৬ মিনিটচট্রগ্রাম, খাগড়াছড়ি৮ মিনিট
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার৮ মিনিটরাঙামাটি৯ মিনিট
সিলেট৯ মিনিটবান্দারবান, কক্সবাজার১০ মিনিট
    
    

সূত্রঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

 [সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ ডাউনলোড]

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২

আরো দেখুনঃ নামাজের রোজার চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ইসলামিক ফাউন্ডেশন

রোজার নিয়তঃ

نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم

উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরজ করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়াঃ

اللهم لك صمت و على رزقك افطرت

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।

অর্থঃহে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।

রোজা ভঙ্গের কারণঃ
০১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
০২. স্ত্রী সহবাস করলে।
০৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না)।
০৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
০৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।
০৬. জবরদস্তি করে কেউ রোজা ভাঙালে।
০৭. ইনজেকশান বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহে ওষুধ পৌঁছালে।
০৮. কংকর, পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
০৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্যাস্ত হয়নি।
১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১. দাঁত থেকে ছোলা পরিমান খাদ্যদ্রব্য গিলে ফেললে।
১২. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করলে।
১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে।
১৪. রাত আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫. মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর জাগরিত হলে।

রোজার মাকরুহঃ
০১. অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা।
০২. কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
০৩. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

তারাবীহ নামাজের নিয়ত

বাংলা উচ্চারণ: (নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তা আলা রাকয়াতাই সিলাতিৎ তারাবীহী সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআলা মুতাওয়াজিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।)

অর্থ : আমি ক্বিলামুখী হয়ে দুই রাকাআ’ত তারাবিহ সুন্নাত নামাজ আল­াহর জন্য আদায়ের নিয়্যত করছি, আল­াহু আকবার। (যদি জামাআ’তের সহিত নামাজ হয় তবে- এই ইমামের ইমামতিতে জামাআ’তের সহিত)।

তারাবীহ নামাজের দোয়া:

বাংলা উচ্চারণ: (সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি সুবহানা জিল্ ইজ্জাতি ওয়াল আজমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়াল জাবারুতি সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদান সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বানা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররুহ।)
(প্রত্যেক চার রাকয়াত নামাযের পর এই মোনাজাত পড়িতে হইবে।)

তারাবি নামাজের মোনাজাত:

বাংলা উচ্চারণ: (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারি বিরাহমাতিকা ইয়া আজীজু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু ,ইয়া জাব্বারু ইয়া খালেকু, ইয়া রাররূ, আল্লাহুমা আজির না মিনান্নারি, ইয়া মূজিরু ইয়া মুজিরু, বিরাহ্মাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।)





About আল মামুন মুন্না 822 Articles
আল মামুন মুন্না, বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা বিষয়ক বাংলা কমিউনিটি ব্লগ সাইট "লেখাপড়া বিডি"র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন যশোর সরকারী এম. এম. কলেজ থেকে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে বি.বি.এ অনার্স ও আজম খান সরকারী কমার্স কলেজ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*